জকিগঞ্জে এইচএসসি ফলাফলে শীর্ষে হাফছা মজুমদার মহিলা কলেজ, পাশের হার ৩৩.৮৮ শতাংশ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৯:০৪:২৪ অপরাহ্ন
জকিগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেটের জকিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সাতটি কলেজের মধ্যে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ফল করেছে হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজ, আর সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি।
প্রাপ্ত ফলাফল থেকে জানা যায়, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে পাসের হার ৬৭.৮৩ শতাংশ এবং ৫ জন শিক্ষার্থী অর্জন করেছে জিপিএ-৫। মেয়েদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই উপজেলায় সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে লুৎফর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, যেখানে পাসের হার ৪৪.৫৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, যার পাসের হার ৪২.৯৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, উপজেলার অন্যতম প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে পাসের হার ৩৮ শতাংশ। গুরুসদয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে পাসের হার ২৪.৬২ শতাংশ, গনিপুর কামালগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৩.৪৬ শতাংশ, সর্বশেষ স্থানে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি, যেখানে পাসের হার মাত্র ৫.৭১ শতাংশ।
ফলাফলের এই বৈষম্য নিয়ে স্থানীয় শিক্ষামহলে চলছে আলোচনা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার প্রতি অনীহাই এই নিম্ন ফলাফলের প্রধান কারণ।
হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খালেদ আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত অধ্যয়ন, শিক্ষক-অভিভাবক ও গভর্নিং বডির নিবিড় সহযোগিতা এবং কঠোর একাডেমিক তদারকির ফলেই আমাদের এ সাফল্য। আগামী বছর আরও ভালো ফলের জন্য আমরা ইতিমধ্যে পরিকল্পনা নিয়েছি।
অন্যদিকে, ফলাফলে পিছিয়ে পড়া কলেজগুলো নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। তারা মনে করছেন, উপজেলার সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এখনই পরিকল্পিত উদ্যোগ, শিক্ষক সংকট নিরসন এবং ক্লাস কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি জরুরি।
স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, গড় পাসের হার মাত্র ৩৩.৮৮ শতাংশ হওয়া জকিগঞ্জের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি সতর্কবার্তা। তারা বলছেন, সময়মতো উদ্যোগ না নিলে আগামী বছর ফলাফল আরও নিম্নমুখী হতে পারে, যা এলাকার সামগ্রিক শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।




