সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কে ৭ কিলোমিটারে ১৩ ‘স্পিড ব্রেকার’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১:২৮:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট- সুলতানপুর- বালাগঞ্জ সড়কে স্থানীয়দের দেওয়া ইচ্ছেমতো স্পিড ব্রেকার যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিলাম থেকে আজমতপুর পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৩টি ‘স্পিড ব্রেকার’ দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। ঘন ঘন এসব স্পিড ব্রেকারে সড়কে দুর্ঘটনার শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া নতুন সংস্কারকৃত দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটি সৌন্দর্যও হারিয়েছে।
সিলেট সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, এই সড়কে পারলে সবাই বাড়ির সামনে স্পিড ব্রেকার দিতে চান। সওজের কর্মকর্তারা স্পিড ব্রেকার অপসারণ করতে গেলে স্থানীয় লোকজন তাদের ওপর চড়াও হন বলে অভিযোগ তাঁর।
তিনি বলেন, সওজ ছাড়া অন্য কেউ কোনোভাবেই সড়কে বাঁধ দিতে পারে না। এটা অবৈধ কাজ। অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে স্পিড ব্রেকারগুলো অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা বলছেন, অপরিকল্পিত ঘন ঘন স্পিড ব্রেকার দুর্ঘটনা ঝুঁকি বাড়িয়েছে সিলেট-সুলতানপুর সড়কে। দূর থেকে দেখা যায় না এগুলো। ফলে গতি থাকা অবস্থায় এসব স্পিড ব্রেকার অতিক্রম করে যানবাহন। এতে যাত্রীরা সজোরে ধাক্কা খেয়ে চমকে উঠেন। প্রায় সময়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে এ সড়কে। স্পিড ব্রেকরের সামনে সতর্কমূলক সাইনবোর্ডও নেই।
সওজ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট (চন্ডীপুল)-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের দৈর্ঘ্য ২৫ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। তবে এই সড়কে সওজ কোনো স্পিড ব্রেকার দেয়নি। সড়কে মূলত সিলাম জামে মসজিদ থেকে আজমতপুর পর্যন্ত সড়কে স্পিড ব্রেকার রয়েছে। আর এসব স্পিড ব্রেকার দিয়েছে স্থানীয় লোকজন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চন্ডিপুল থেকে সিলাম জামে মসজিদ ৪ কিলোমিটার সড়কে কোনো স্পিড ব্রেকার নেই। মূলত সিলাম জামে মসজিদ থেকে আজমতপুর পর্যন্ত স্পিড ব্রেকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া আজমতপুর থেকে বালাগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে কোনো স্পিড ব্রেকার নেই। ১৩টি স্পিড ব্রেকারের মধ্যে সিলাম জামে মসজিদের সামনে ২টি, চকের বাজার স্কুলের সামনে ২টি, নিজ সিলাম পয়েন্ট ১টি, সিলাম নয়া বাজার ১টি, কলারতল ৩টি, বটেরতল ১টি, জালালপুর বাজারে ২টি ও আজমতপুর ১টি। স্পিড ব্রেকারের কারণে মূলত এই ৭ কিলোমিটার সড়কই যেন মরণফাঁদে তৈরি হয়েছে। বেড়েছে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও।
জানা গেছে, এসব স্পিড ব্রেকার অপসারণে সড়ক ও জনপথ বিভাগও অসহায়। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার এই ৭ কিলোমিটার এলাকার লোকজনের মারমুখী আচরণে এসব স্পিড ব্রেকার অপসারণ করা যাচ্ছে না।
সড়কে নিয়মিত যাতায়াতকারী সালমান আহমদ সোহেল জানান, ৭ কিলোমিটারের মধ্যে ১৩ স্পিড ব্রেকার যেন মরণফাঁদ। সিএনজি ও মোটরসাইকেল প্রতিনিয়ত ছোটখাটো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। দ্রুত এসব স্পিড ব্রেকার অপসারণ করা না হলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।




