শনিবার হচ্ছে না ভোট গ্রহণ, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ পৌঁছায়নি সিলেট চেম্বারে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ২:৩৮:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচনের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আদেশ দিলেও নথি এখনো পৌঁছায়নি সিলেট চেম্বারে। ফলে আগামীকাল শনিবার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির প্রশাসক ও সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সাঈদা পারভীন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এডিএম আরো বলেন, নির্বাচনের স্থগিতাদেশ হয়েছে-এটা আমরা জেনেছি। তবে হাইকোর্টের অফিসিয়াল আদেশের চিঠিটি আমরা এখনো হাতে পাইনি। যদি আদেশের কপিটা আমাদের কাছে চলে আসে তখন আমরা নির্বাচনের কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে পারব। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কিছুই আসেনি।
অন্যদিকে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ হাইকোর্টের আদেশের পর ১ নভেম্বরই নির্বাচন আয়োজনের জন্য দাবি জানান। তবে এ ব্যাপারে চেম্বার প্রশাসক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটিও সম্ভব নয়। সাঈদা পারভীন বলেন, আদেশের কপি হাতে পেলেও ১ নভেম্বর নির্বাচন সম্ভব নয়। সময় হাতে আছে দুইদিন এই দুই দিনে বৃহৎ একটা ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়। তবে আদেশের কপি হাতে পেলেই আমরা দ্রুত পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজন করতে পারব।
একই কথা বলেছেন নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, আমরাও এখনো হাইকোর্টের আদেশের কপি পাইনি। এছাড়া এটি প্রথমে আসবে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসকের কাছে। তারপর আমরা পাব। সেজন্য এখনো নতুন কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরাও চিঠির অপেক্ষা করছি।
আগামী ১ নভেম্বর দি সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তবে গেল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডকে জানানো হয়। পরবর্তীতে চেম্বার নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্যানেল সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও ব্যবসায়ী ফোরাম হাইকোর্টে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ নিয়ে রিট করলেও আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন আয়োজন করার অনুমতি দেন।




