সিলেটে বেড়েছে শীতের সবজির সরবরাহ, কমছে দাম
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২:২৭:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় সিলেট নগরীর কাঁচাবাজারগুলোতে কয়েক মাসের চড়া দাম কমতে শুরু করেছে।
গতকাল শুক্রবার সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, শিবগঞ্জের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, অনেক সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। কিছু সবজির দাম কমেছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
বাজারে শীতকালীন সবজির মধ্যে শিম, মূলা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সবজির সরবরাহ বেড়েছে।
ফলে, কয়েক সপ্তাহ আগে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শিমের দাম গতকাল শুক্রবার ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে সবজিটির কেজি ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা।
এছাড়া অন্যান্য মৌসুমি সবজির মধ্যে মূলা কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ছোট আকারের একেকটি ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও লাউয়ের দাম কমে প্রতিটি আকৃতিভেদে ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
লালদিঘীরপাড় কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আব্দুস ছত্তার বলেন, “বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। গরমের (গ্রীষ্মকালীন) সবজির দামও কমতেছে। এক-দুই সপ্তাহ পর আরও কমবে।”
বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে ঝিঙা ৫০ টাকা, করলা ২০ টাকা কমে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন মান ভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কচুর লতি ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ধুন্দল ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে কাঁচামরিচ কেজিতে ২০ টাকা কমে মানভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ১০ টাকা কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশি শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা ও হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
তাছাড়া গতকাল শুক্রবার লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছিল ২০ থেকে ৪০ টাকায়। ধনেপাতা কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে ২৫০ টাকা টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
এছাড়া কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া প্রতিটি আকৃতিভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
বাজারগুলোতে শাকেরও পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। এর মধ্যে লাল শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কলমি শাক ১০ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছিল।
এছাড়া পুঁই শাক ৪০ টাকা, ডাটা শাক দুই আঁটি ৪০ টাকা, পালং শাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলাশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা আঁটিতে বিক্রি হচ্ছিল।
এদিকে, শাকসবজির দাম কমলেও বাজারে মশলাজাতীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই।
দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি আদা ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, চায়না আদা ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, ভারতীয় রসুন ১৬০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৫০ টাকা, আমদানি করা (মোটা দানা) ১২০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা ও খেসারির ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।
তাছাড়া সবজির দাম কমার প্রভাব পড়েছে মুরগি ও ডিমের বাজারে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ডিমের দাম কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা। ১৪০ টাকার লাল ডিমের ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ১৩০ টাকার সাদা ডিম ১২০ টাকা। সবচেয়ে বেশি কমেছে দেশি হাঁসের ডিমের দাম। বর্তমানে ১ হালি ডিমের দাম ৭০ টাকা।
বয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা এবং সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা ও সোনালি মুরগি জাতভেদে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস আগের দাম ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।




