চেয়ারম্যান মহোদয়ের বাণী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১১ মার্চ ২০২৩, ৬:৩১:২৩ অপরাহ্ন
পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাস অধ্যয়ন করলে দেখা যায়, প্রতিটি সমাজই কিছু কৃতি মানুষের হাত ধরে এগিয়ে গেছে। তারা তাদের শ্রম, মেধা ও মননের সমন্বয়ে সমাজকে সমৃদ্ধ করেন। তাদের সুকৃতির ধারা জনকল্যাণে ছড়িয়ে দিতে এসব কৃতি মানুষ সদা সর্বদা তৎপর থাকেন।
আমাদের সমাজে এখনো এরকম কিছু মানুষ আছেন বলেই সমাজটা সুন্দর ও বাসযোগ্য হয়ে আছে।
আমরা জানি, গুণীজনকে সম্মান জানালে সমাজে গুণীজনের জন্ম হয়। বাংলাদেশের সৃজনশীল সমাজ ব্যবস্থায় সম্মান জানানোর ধারা এতোটা সুপ্রসন্ন নয়।
সিলেট অঞ্চলের জ্ঞানী-গুণীজনকে স্বীকৃতি প্রদানের লক্ষ্যে রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন ‘সাহিত্য পুরস্কার ও ‘একুশে সম্মাননা’- আমাদের হৃদয়জাত প্রচেষ্টার এক আন্তরিক প্রকাশ।
আমরা গুণীকে সম্মান করতে চাই, তাদের দেখানো পথকে সাবলীল করতে চাই।
১৯৯৮ সাল থেকে এবারের আয়োজনসহ কৃতি লেখকদের রাগীব-রাবেয়া সাহিত্য পুরস্কার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে একুশে সম্মাননায় ভূষিত করা হচ্ছে।
সিলেটসহ গোটা বাংলাদেশের সাহিত্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, চিকিৎসা ক্ষেত্রের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে তারা রেখেছেন অনবদ্য অবদান। মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের মাতৃভাষাকে অর্জন করেছি। পরবর্তীতে দীর্ঘ ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা এই স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখণ্ড লাভ করি।
আমাদের চিন্তা চেতনা ও বিশ্বাসে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা, ভাষার প্রতি প্রেম অনিঃশেষ। সবসময়ই আমরা সত্যিকারের গুণে এবং গুণীর সন্ধান করে যাই।
এবারও যারা সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তারা এ অঞ্চলের কৃষ্টি-সভ্যতার লালন ও বিকাশ রেখেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান।
আমরা প্রত্যাশা করি, ভবিষ্যতে সুকুমার বৃত্তির চর্চায় তাদের কর্মকাণ্ড আরো বিস্তৃত হবে।
সিলেট গুণি আউলিয়ার দেশ হিসেবে খ্যাত। হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত, শ্রী চৈতন্যের পিতৃভূমি এই সিলেট জ্ঞান-গরিমায় আদিকাল থেকেই সুপ্রসিদ্ধ।
এখানকার লেখক কবি-শিল্পীরা বাংলাদেশের সাহিত্য সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। একইভাবে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের বর্ণাঢ্য জীবন ব্যয় করেছেন সভ্যতার সোপানে নতুন নতুন ধাপ সংযোজনের লক্ষে।
আলোকিত ও উদার একটি সমাজ বিনির্মাণে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস সফল হোক। সবার জীবনে মঙ্গল আসুক। আল্লাহ হাফেজ।
ড. রাগীব আলী
চেয়ারম্যান
রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন