বর্ণিল আয়োজনে লিডিং ইউনিভার্সিটির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধিতে গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োজিত থাকতে হবে ——দানবীর ড. রাগীব আলী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৩, ৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বর্ণিল আয়োজনে সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে নগরীতে বের করা হয় বর্র্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এতে নেতৃত্ব দেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান দানবীর ড. রাগীব আলী। সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর তালতলা থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বাসের পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি কার এবং শতাধিক মোটর সাইকেল অংশ নেয়।
শোভাযাত্রাটি শেখঘাট জিতু মিয়ার পয়েন্ট-লামাবাজার-রিকাবিবাজার-চৌহাট্টা- কুমারপাড়া-নাইওরপুল-মিরাবাজার-শিবগঞ্জ-টিলাগড়-এমসি কলেজ হোস্টেল এলাকা-বালুচর- শাহী ঈদগাহ-আম্বরখানা-সুবিদবাজার-মদিনা মার্কেট-পাঠানটুলা-তেমুখি পয়েন্ট ঘুরে লিডিং ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে গিয়ে শেষ হয়।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, এমসি কলেজ, মদনমোহন কলেজ, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা, আনন্দনিকেতন, স্কলার্সহোম, উইমেন্স মডেল কলেজ, পাঠানটুলা জামেয়া কামিল মাদ্রাসা ও রাগীব-রাবেয়া প্রতিবন্ধী স্কুলসহ সিলেট নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও অধ্যক্ষবৃন্দ বিভিন্ন পয়েন্টে উপস্থিত হয়ে শোভাযাত্রাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এ সময় লিডিং ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয় ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর টি-শার্ট প্রদান করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি দানবীর ড. রাগীব আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, অসংখ্য শিক্ষা, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, দৈনিক সিলেটের ডাক-এর সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর মেরুদন্ড না থাকলে যেমন মানুষ সোজা হয়ে চলতে পারে না, তেমনি শিক্ষা ছাড়া মানুষ সমাজে ভালোভাবে চলতে পারে না। সমাজে মানুষজনের এই ভালোভাবে চলার তাগিদেই এ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছি। অনেক পথ অতিক্রম করে এ প্রতিষ্ঠানকে আজকের অবস্থানে আসতে হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও ট্রেজারার বনমালী ভৌমিকের সভাপতিত্বে শিক্ষানুরাগী দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে আন্তরিকতা লাগে। আর আন্তরিকতা ছিল বলেই আজ লিডিং ইউনিভার্সিটির এ অবস্থান। ইউনিভার্সিটি উন্নতির সোপানে আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে-এটাই আমার প্রত্যাশা।
শিক্ষানুরাগী দানবীর ড. রাগীব আলী আরো বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে সাহস, ধৈর্য্য, প্রজ্ঞার প্রয়োজন। এ আজ থেকে ২২ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ২২ বছরের পথ পরিক্রমায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষা গ্রহণ করে দেশে-বিদেশে সুনাম কুঁড়াচ্ছে-যা এই ভার্সিটির জন্য একটি সুখকর সংবাদ।
বহু মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রাগীব আলী আরো বলেন, অন্য দশজনের উপকার করার অর্থ হচ্ছে নিজের উপকার করা। আর কারো উপকার না করার অর্থই হলো অপকার করা। এখানকার গ্র্যাজুয়েটরা শিক্ষা গ্রহণ করে দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধির কাজে নিজেদের নিয়োজিত করবেন-মর্মে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় অন্য বক্তারা বলেন, দানবীর রাগীব আলীর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানকে আমাদেরকে আরো উন্নতি ও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এটিকে আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে হবে। তবেই, দানবীর ড. রাগীব আলীর প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. শাহেনশাহ মোল্লা।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. জাহিদ হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. বশির আহমেদ ভুঁইয়া, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মাইমুল আহসান খান, কলা ও আধুনিক ভাষা অনুষদের ডিন ড. মো. রেজাউল করিম, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোস্তাক আহমাদ দীন।
অনুষ্ঠানে দর্শকদের মাতিয়ে গান পরিবেশন করেন জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. একেএম দাউদ ও বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত নিয়মিত শিল্পী মিসেস রাখী ভৌমিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন কালচারাল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ।