লেবাননে ৮ ইসরাইলি সেনা নিহত ৩টি সামরিক ট্যাংকসহ ১০ ভবন ধ্বংস
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ৬:০১:৫১ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে তাদের আটজন সৈন্য মারা গেছে। এ সময় আরো সাতজন সৈন্য আহত হওয়ার খবরও দিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, যে সব সৈন্য মারা গেছে, তাদের মধ্যে তিনজন ইগোজ ইউনিটের।
লেবাননে আক্রমণ শুরু করার পর ইসরাইলি সৈন্য মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।
লেবাননে সম্মুখ যুদ্ধে ইসরাইলি সেনাদের প্রতিহত করার দাবি করছে হিজবুল্লাহ। গতকাল বুধবার দু’বার মুখোমুখি লড়াই হয়েছে বলে জানায় তারা। সংগঠনটির বক্তব্য, এগুলো যুদ্ধের প্রথম পর্যায়।
এদিকে, রকেট হামলার মাধ্যমে তিনটি ইসরাইলি ট্যাংক ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। ট্যাংকগুলো লেবাননের সীমান্তবর্তী গ্রাম মারুন আল-রাসের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় রকেট হামলার শিকার হয়।
গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, তারা ইসরাইলি মেরকাভা ট্যাংকগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। যেগুলো মারুন আল-রাস নামক গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
হিজবুল্লাহর সর্বশেষ এ হামলাটি লেবাননের সীমান্ত এলাকায় চলমান সংঘাতের মধ্যেই ঘটেছে। যেখানে হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
হিজবুল্লাহ এর আগে এক বিবৃতিতে জানায় যে, তাদের যোদ্ধারা অধিকৃত ফিলিস্তিনের উত্তরে ইসরাইলি সামরিক ঘাঁটি ও অবৈধ বসতিগুলো লক্ষ্য করে ৫০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
গতকাল বুধবার আল-মায়াদিন টেলিভিশন জানায়, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে, বুধবার লেবানন থেকে ইসরাইলি অবস্থানে ৫০টি রকেট ছোঁড়া হয়েছে। যেগুলো লেবাননে ইসরাইলি আক্রমণের প্রতিশোধ হিসেবে ছোঁড়া হয়েছে।
ইসরাইলি চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, আল-মুতলা বসতিতে চালানো এ হামলায় অন্তত ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বুধবার সকালে একাধিক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করে যে, তাদের যোদ্ধারা শোমেরা ক্যাম্প, শতুলা এবং মিসগাভ আম বসতির সামরিক অবস্থানে হামলা চালিয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরাইলি বাহিনী প্রবেশ করে আক্রমণ চালায়। মানা, আল-মানারা, এবং আল-সালাম এলাকাগুলো থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহার করার পর ওইসব এলাকা থেকে ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গত ৩৬১ দিনে গাজায় ইসরাইলি সামরিক আক্রমণে ৪১,৬৩৮ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন।
এদিকে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ আখ্যা দিয়ে তাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরাইল।
গতকাল বুধবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টজ বলেছেন, মঙ্গলবার ইরান যে মিসাইল হামলা চালিয়েছে দ্ব্যর্থহীনভাবে সেটির নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন গুতেরেস।
তার অভিযোগ জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব ‘ইসরাইল বিরোধী’ এবং ‘সন্ত্রাসী, ধর্ষক ও খুনিদের মদদদাতা। আগামী প্রজন্মের কাছে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব কলঙ্কিত হিসেবে আখ্যায়িত হবেন।’মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘের প্রধান মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত বৃদ্ধির পর এ নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন। একই সাথে তিনি যুদ্ধ বিরতিরও আহŸান জানিয়েছিলেন।