আলাপচারিতায় ইকবাল আহমদ ওবিই
পূর্ব লন্ডন হলো দ্বিতীয় সিলেট
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১:১৩:২১ অপরাহ্ন
নজরুল ইসলাম বাসন :
ইউকে বিবিসিআই এর চেয়ারপার্সন ইকবাল আহমদ ওবিই বলেছেন, অনেকে বলেন সিলেট দ্বিতীয় ল-ন, আসলে আমি বলতে চাই পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস্ হচ্ছে দ্বিতীয় সিলেট। গতকাল সিলেট নগরীর তাঁর রায়নগরস্থ বাসভবনে এক খোলামেলা আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ইকবাল আহমদ ওবিই’র এই কথার তাৎপর্য হলো, লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলের রাজনৈতিক নেতৃত্বে রয়েছেন সিলেটের ওসমানীনগরের ছেলে নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান ও তার দলের কাউন্সিলরবৃন্দ এবং লেবার পার্টির কাউন্সিলর সবাই সিলেটী। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী রুশনারা আলি এমপিও সিলেটের বিশ্বনাথের এবং আপসানা বেগম এমপির বাড়ি জগন্নাথপুরে। শিল্পপতি ও ব্যাংকার ইকবাল আহমদ ওবিই বলেন, তাহলে আমরা সিলেটকে দ্বিতীয় না বলে টাওয়ার হ্যামলেটস্কে দ্বিতীয় সিলেট বলা যুক্তিযুক্ত মনে করি।
সেল্ফ মেইড এই শিল্পপতি বলেন, সিলেটীরা লন্ডনে গিয়ে যে সাফল্য অর্জন করেছেন তারা সিলেটে এসে তাদের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সত্যিকার অর্থেই সিলেটে সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করতে পারতেন।
সীমার্কের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ওবিই আরো বলেন, বৃটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সিলেটের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজনেস স্টাডিজ ও আইটি বিভাগের টুইনিং করা যেতে পারে। এতে করে সিলেটের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষার দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক মান অর্জন করতে পারবে।
তিনি বলেন, সিলেটে ট্যুরিজম ও সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিকে আরো ডেভেলপ করতে পারলে বিপুল রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, সিলেট হচ্ছে একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা, পাহাড় নদীর দেশ। দেশি বিদেশি পর্যটকে সিলেট ভরে যায় কিন্তু এই সিলেট বিভাগে কোন যাদুঘর নেই। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কয়েকটি যাদুঘর ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগ এখনও চোখে পড়ে না।
উল্লেখ্য যে, শিল্পপতি ইকবাল আহমদ ওবিই বাংলাদেশের একজন প্রধান রফতানিকারক ও বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী। বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে ও চলে গেছে কিন্তু ইকবাল আহমদ ওবিই এর মতো একজন প্রতিভাধর ব্যক্তিকে ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নে কাজে লাগানোর কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। কিন্তু বৃটিশরা তাকে ওর্ডার অব বৃটিশ এম্পায়ার খেতাবে ভূষিত করে সম্মানিত করেছে।