২ মার্চ চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ : ইসি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:২৫:১০ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : নির্বাচন কমিশন (ইসি) আগামী ২ মার্চ চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম কমিশন সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এদিন বেলা ১১টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এম এম নাসির উদ্দীনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়।
এতে চার নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাছউদ, তহমিদা আহমদ ও আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে নিয়োগ দেয় সরকার। তার সঙ্গে আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেন, আগামী বছরের ২ মার্চের পর থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। হালনাগাদকৃত এসব ভোটার ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবে।
এদিকে ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী নিয়মতান্ত্রিকভাবেই নির্বাচন কমিশনের সংগ্রহে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে আগামী জানুয়ারির ২ তারিখ থেকে মার্চের ২ তারিখের মধ্যে ভোটার তালিকার খসড়া ও চ‚ড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আমাদের কাছে ১৭ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহে রয়েছে। এসব নাগরিক ১লা জানুয়ারি ২০২৫-এ ভোটার তালিকায় যুক্ত হবে।
এই ১৭ লাখ নাগরিকের মধ্যে ১৩ লাখের তথ্য নির্বাচন কমিশন ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিল। বাকি নাগরিকরা নিজেরা নিবন্ধিত হয়েছেন। তবে পরিসংখ্যান বলে ৪৫ লাখের মতো নাগরিকের নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা।
সেই হিসেবে ২৭-২৮ লাখ নাগরিক নিবন্ধিত হননি, কিন্তু তারা ভোটার হওয়ার যোগ্য। এ কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এ বছরের হালনাগাদ দুই জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
এরপর আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবো। বাদ পড়া এসব নাগরিকসহ ২০২৬ সালে ভোটার হওয়ার উপযুক্ত হবেন এমন নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একইসঙ্গে যে সকল ভোটার মৃত্যুবরণ করেছে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করার জন্য তথ্য নেয়া হবে।
এছাড়া দ্বৈত ভোটার বা অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা সে বিষয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে এবং তারা ২০২৬ সালে নতুন ভোটার হিসেবে যুক্ত হবেন।
এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তথ্যের ভিত্তিতে শতভাগ সঠিকতা নিশ্চিত করতে পারব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ছয় মাসের মতো সময় লাগবে।