প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে
তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বক্তব্য
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৪৬:১৩ অপরাহ্ন
দৈনিক সিলেটের ডাক এর প্রথম পৃষ্ঠায় গতকাল সোমবার প্রকাশিত ‘প্রশাসন নির্বিকার, তারাপুর চা বাগানের ভূমি দখল করে চলছে ঘর বাড়ি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী উল্লেখ করেন, মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের রায়ের আলোকে সিলেটের জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির দায়িত্ব গ্রহণের পর হতে চা বাগানের ১ ইঞ্চি ভূমিও ইচ্ছাকৃত হাত ছাড়া হয়নি।
তার দাবি করের পাড়া ব্রিজ সংলগ্ন জায়গাটুকু অবৈধ দখল হতে উদ্ধার করে দোকানকোঠা নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। দোকান কোঠা হতে অগ্রিমপ্রাপ্ত অর্থদ্বারা গত ৭ মাস তহবিল সংকটে বন্ধ থাকা চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করা হয়।
ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী আরো বলেন, দলিলে উল্লেখ আছে বাগানের প্রায় ৩৮ হাল ১ কেদার ৩ পোয়া বা প্রায় ৫০০ শতক ভূমি। কিন্তু ২০২১ সালে পূর্বেকার সেবায়েত সকল প্রকার অবৈধ দখলসহ ৩২৩.০৮ একর ভূমির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন (প্রকৃত সার্ভে ছাড়া)।
তিনি দাবি করেন, গত ৫ আগস্ট দেশেরে পট পরিবর্তনের পর দুষ্কৃতকারীরা বাগান হতে সুবিধা নিতে না পেরে চা শ্রমিকসহ আমাদেরকে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়েছে এবং আরোও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে।
ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী আরো দাবি করেন, তারাপুর চা বাগান কর্তৃপক্ষ সব সময় বাগানের স্বার্থ চিন্তা করে। বাগানে প্রায় ৪১০ জন চা শ্রমিক বসবাস করে। প্রতি সপ্তাহে চা শ্রমিকের ‘তলপ’ মজুরী দিতে হয়।
বর্তমানে চা এর উৎপাদন ব্যয় হতে বিক্রির মূল্য অতি কম, সব চা বাগান লোকসানে আছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে। শহরতলীতে অবস্থিত এই তারাপুর চা বাগানকে টিকিয়ে রাখার জন্য সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।-বিজ্ঞপ্তি