আপনাদের অফিসেই নেটওয়ার্ক নাই নাকি স্যার? কথা আসতেছে না কেন- টেলিটকের গণশুনানিতে গ্রাহক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১২:৫০ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : কারও অভিযোগ নেটওয়ার্ক নিয়ে, কেউ পান না রিচার্জ পয়েন্ট, কারও আবার ডেটা প্যাক কেনার পরও ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পাড়ি দিতে হয় আধা ঘণ্টা দূরত্বের পথ। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটকের গণশুনানিতে এসব অভিযোগের কথা জানান গ্রাহকেরা। আজ মঙ্গলবার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
রাজশাহী বিভাগের একজন গ্রাহক টেলিটকের সেবার ভোগান্তির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘আমার এলাকায় কারেন্ট গেলেই নেটওয়ার্ক হাওয়া। এক সেকেন্ডের জন্য কারেন্ট গেলেও নেটওয়ার্ক চলে যায়। টাওয়ারে ব্যাটারি ব্যাকআপ নাই।’
দিনাজপুরের বিরল উপজেলার গ্রাহক মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ‘এই এলাকার কোথাও নেটওয়ার্ক কভারেজ নাই। এমবি কিনেও ব্যবহার করা যায় না। আধা ঘণ্টা দূরে দিনাজপুরে গিয়ে এমবি ব্যবহার করতে হয়।’
এদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় এই গণশুনানি। ১৫ জনের মতো গ্রাহক ও টেলিটকের স্থানীয় প্রতিনিধি এই শুনানিতে কথা বলার সুযোগ পান। গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেকটা দায়সারাভাবে করা হয়েছে এই গণশুনানি। এ বিষয়ে পর্যাপ্ত ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। এমনকি অংশীজনেরাও এই গণশুনানির বিষয়ে জানেন না।
গণশুনানি আয়োজনের দুই দিন আগে, অর্থাৎ রোববার টেলিটকের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, ‘সরকারি দপ্তর ও সংস্থাগুলো কর্তৃক মাসিক ভিত্তিতে গণশুনানি আয়োজন-সংক্রান্ত “সংস্কার কমিশন”-এর সুপারিশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ একটি গণশুনানি ভার্চুয়াল মাধ্যমে (জুম) আয়োজন করতে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘গণশুনানি আয়োজনের তো একটা নিয়ম আছে। বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। অংশীজনদের জানাতে হয়। গণশুনানি যে হয়েছে, তা এখন জানলাম। গণশুনানির নামে এটা একটা প্রহসন।’
গণশুনানি পরিচালনা করেন টেলিটকের উপব্যবস্থাপক শারমীন সিদ্দিকা। প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী গ্রাহক ও প্রতিনিধিদের নানা অভিযোগ শুনে সবশেষে বক্তব্য শুরু করেন টেলিটকের উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটা কথা নোট করেছি। গ্রাহকদের অভিযোগগুলো সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খালেকুজ্জামানের মিনিটখানেকের বক্তব্যের মধ্যেও দুবার সংযোগে বিভ্রাট ঘটে। এ সময় গ্রাহকেরা বলতে শুরু করেন, ‘আপনাদের অফিসেই নেটওয়ার্ক ঠিক নাই নাকি স্যার? কথা আসতেছে না কেন?’ এরপর বক্তব্য অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ হয় এই গণশুনানি।
টেলিটকের উপব্যবস্থাপক শারমীন সিদ্দিকা জানান, এর পর থেকে প্রতি মাসে গণশুনানির আয়োজন করা হবে। তাঁরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন।