সিলেটে শিপন হত্যা মামলায় ১ আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:০৩:০৭ অপরাহ্ন

সিলেটের ওসমানীনগরের আলোচিত শিপন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার ৬৩ পৃষ্টার এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর নাম জয়নুল হক ধন মিয়া (৫০)। তিনি ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামের মৃত দরস উল্লাহর পুত্র। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন। হত্যার শিকার শিপন মিয়া একই গ্রামের আশিক মিয়ার পুত্র। এছাড়াও আরো ৮ আসামীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
তারা হলেন একই এলাকার সাদিক মিয়া, মোস্তফা মিয়া, ফরিদ মিয়া, আলা মিয়া, সেলিম মিয়া, হেলিম মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া ও মানিক মিয়া। তারা উচ্চ আদালতে আপিল মামলা দায়েরের শর্তে জামিন পেয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট দেবাশীষ পুরকায়স্থ এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ মে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের ঈশাগ্রাই গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে ঈশাগ্রাই গ্রামের মানিক মিয়ার গরু একই গ্রামের ছুরাব আলীর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া ও ধন মিয়া তাদের দলবল নিয়ে হত্যার শিকার শিপনের পরিবারের উপর আক্রমন চালায়। এসময় ধন মিয়ার দেশীয় অস্ত্র ছুলফির আঘাতে গুরুত্বর জখম হন শিপন মিয়া। পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর পরের দিন শিপনের বড়ভাই রিপন মিয়া বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর- ৪৩/২০২০ ইং। ওসমানীনগর থানার তৎকালীন এসআই স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার তদন্ত সাপেক্ষে আরও ১ জনকে আসামী হিসেবে যুক্ত করেন। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর করা হয়। যার নম্বর- ৬১২/২২ ইং।
উল্লেখ্য, মামলাটিতে মোট আসামী ছিলেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ৮ জনকে ছয়মাসের কারাদন্ড ও বাকী ১৯ জন আসামীকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
এদিকে, এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহত শিপনের পরিবার। মামলার বাদী শিপনের ভাই রিপন জানান, আমরা আশা করেছিলাম অন্তত আমার ভাইয়ের হত্যাকারী ধন মিয়ার ফাঁসির রায় হবে। কিন্তু মাননীয় বিচারিক আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন।