মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন
স্বৈরাচার রুখতে রাজনৈতিক মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে : ডা: জাহিদ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩৭:৫১ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজার থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আমাদের সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলেনি। স্বৈরাচার সৃষ্টি করেছে যারা দিনের ভোট রাতে করেছেন, যারা বিনা ভোটের নির্বাচন করেছেন, যারা আমি ডামি নির্বাচন করেছেন। তিনি বলেন, স্বৈরাচার রুখতে হলে আমাদের রাজনৈতিক মানসিকতা ও সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে। নিজের আমিত্ব থেকে বের হতে হবে।
গতকাল শনিবার বিকালে মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির দ্বি বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘পিআর ছাড়া নাকি জাতীয় নির্বাচন হবে না এবং পিআর পদ্ধতিতে না হলে শাসক স্বৈরাচারী হয়ে যায়’ বলে যারা চিৎকার করছেন তাদের নিকট প্রশ্ন রেখে বলেন, সংবিধানে কোথাও কি স্বৈরাচার হওয়ার কথা লেখা ছিল? কিন্তু সংবিধানের তো কোনো দোষ নেই। দোষ হচ্ছে যারা জনগণকে দেশের মালিক মনে না করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য আর প্রশাসন এবং বিচার মন্ত্রনালয়ের কিছু সংখ্যক মানুষকে কব্জা করে দেশ শাসন করার অপচেষ্টা করেছেন। দেশটাকে নিজের পৈতৃক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।
পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল শেষে নির্বাচনে সভাপতি পদে মো. অলিউর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে সারওয়ার মজুমদার ইমন, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার আহমদ রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রেজাউল করিম রেজা বিজয়ী হন। মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো: আব্দুর রহিম রিপন এর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, সম্মেলনের উদ্বোধক জেলা বিএনপির আহবায়ক মো: ফয়জুল করিম ময়ূন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী ও জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মুকিত। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে জেলা বিএনপির আহবায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এদিকে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেল চারটারদিকে দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয়। কাউন্সিল অধিবেশনে গোপন ব্যালটে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি, সম্পাদক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৬ জন প্রার্থী অংশ নেন।