শাবির প্রধান ফটক : নকশায় অসন্তোষ, সামন যেন ডুবা-নালা, আলোহীন নামফলক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:১৭:১৭ অপরাহ্ন

মাঈন উদ্দিন, শাবিপ্রবি : সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। দেখলে মনে হয় এটি কোনো ফটক নয়, দাঁড়িয়ে থাকা একটি স্তভ। পাশের দেয়ালে ছোট করে লেখা নামে, আলো না থাকায় রাত হলে সেটাও পড়ে না চোখে। পানি নিষ্কাশনের অব্যবস্থাপনায় ফটকের সামনের অংশ যেন পরিণত হয়েছে ডুবানালায়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ মজা করে বলছেন, “এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক নয়, বরং কোনো শিল্প কারখানার প্রবেশপথ।”
জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রধান ফটকটি ভেঙে ফেলা হয়। সেই ফটকের উপরে বড় করে লেখা ছিল “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়”। পরে নির্মাণ করা হয় বর্তমান ফটক। তবে এর নকশা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। তাদের অনেকের দাবি, এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের মতোই মনে হয় না।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাদির আহমেদ বলেন,“আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দেখলে মনে হয় যেন শুধু একটি স্তম্ভ দাঁড় করানো হয়েছে। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আকর্ষণই থাকে সেই ফটকটি। নতুন শিক্ষার্থীরা নাম-সম্বলিত ফটকের সামনে ছবি তুলে জানান দেয় যে, তারা এই ক্যাম্পাসের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের ফটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামটি শুধু এক পাশেই লেখা আছে, ফলে অন্য দিক দিয়ে আসলে সেটি চোখেই পড়ে না। ৩২০ একরের সবুজময় এই ক্যাম্পাসের এই প্রধান ফটক মানানসই না। প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা থাকবে তারা এটার সংস্কার করবেন।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কফিল আহমেদ বলেন, “যদিও ফটকের পাশের দেয়ালে ছোট করে লেখা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, তবে সেখানে রাতে আলো না জ্বলায় সেটাও চোখে পড়ে না ।”
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, “প্রশাসনকে নিয়ে আর কী বলব! একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার ফটকে বা ফটকের সামনে থেকে। অথচ এখানে নামহীন একটি স্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে ফটক হিসেবে। আবার সামনেই বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে, মনে হয় এটি রাস্তা নয় আস্ত এক ডুবা। বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের যেন কেউ নেই।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য ও উপ-উপাচার্যের সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করলেও তাদের পাওয়া যায় নি।