সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ পিতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩:২৪:৫২ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: স্ত্রী ও ছাত্রলীগ নেতা পুত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন সিলেট নগরের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মোগলাবাজার থানার কুচাই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. কামাল আহমদ কাবুল। রোববার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে মো. কামাল আহমদ জানান, স্ত্রী সাহিদা সুলতানা ও ছেলে জান্নাতুল নাঈম গত ২ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে তিনিসহ তাঁর ভাই-বোনদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। এ সময় মোগলাবাজার থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যাচার করেছে। তিনি বলেন, তাঁর বোন ফাতেহা বেগম, আয়েশা ছিদ্দিকা, ছোট ভাই ইকবাল আহমদ বাবুল ও শাহীন আহমদের বিরুদ্ধে যতগুলো অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে, যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল।
কামাল আহমদ কাবুল বলেন, তিনি দীর্ঘদিন থেকে ব্রেইন স্ট্রোক করে প্যারালাইসিসে ভোগছেন। চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেন তার ছোট ভাই পুর্তুগাল প্রবাসী শাহীন আহমদ ও বোন ফাতেহা বেগম এবং আয়েশা। তার প্রবাসী ভাই শাহীন আহমদকে যুবলীগ নেতা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ শাহীন দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ পর্তুগাল প্রবাসী এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয়। তিনি বলেন, তার ছেলে জান্নাতুল নাঈম নিষিদ্ধ সংগঠন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। এ ব্যাপারে তার কাছে যথেষ্ট তথ্য রয়েছে বলে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, তার স্ত্রী কাবিনের যে জায়গা নিয়ে অভিযোগ করেছে স্ইে জায়গা দিতে তিনি কখনোই অস্বীকার করেননি। পারিবারিক এই সম্পত্তি এখনো বণ্টন হয়নি। কথা ছিল তার ছোট ভাই শাহীন প্রবাস থেকে দেশে এলে জায়গা ভাগ বাটোয়ারা হবে। কিšুÍ তার আগেই স্ত্রী সাহিদা সুলতানা এ ব্যাপারে মামলা করেছেন। গত ২৪ জুলাই তার ভাই দেশে আসার পর থেকে সাহিদা ও নাঈম তার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা শাহীনকে শারীরিকভাবেও লাঞ্ছিত করেছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শাহীনের সাথে দুর্ব্যবহার করে ও পরনের টি শার্ট ছিঁড়ে ফেলে নাঈম। এ ঘটনায় মোগলাবাজার থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরি করেন।
কামাল আহমদ অভিযোগ করেন, তিনি অনেকবার ছেলের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। তাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। অসুস্থ অবস্থায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। স্ত্রী-পুত্র কোনো সেবা যত্ন করে না। তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর প্রতি তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন।