নবীগঞ্জে গরু চুরির ঘটনায় গরুসহ ৩ চোর আটক, ২টি গরু ও পিকআপ ভ্যান উদ্ধার 

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরুসহ ৩ চোরকে আটক করা হয়েছে। গত রবিবার (১৩ অক্টোবর) গভীর রাতে হবিগঞ্জ-সুনামগঞ্জ মহাসড়কের নবীগঞ্জের জিয়াপুর এলাকায় নবীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ দুলাল মিঞা-এর নেতৃত্বে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলের লক্ষ্যে রবিবার রাত প্রায় ১১ টার সময় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ দুলাল মিঞা সঙ্গীয় অফিসার এসআই আব্দুল কাদের, এএসআই হিল্লোল তালুকদারসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চলাকালে ৫ জন সিআর ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় ফেরার পথে রাত আড়াইটার দিকে জিয়াপুর এলাকায় একটি ডিআই পিকআপ (নম্বর: সিলেট মেট্রো–ন–১১–০১৮৯) ভর্তি দুইটি গরু দেখতে পান। গাড়িটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে পুলিশ সিগন্যাল দেয়, কিন্তু চালক দ্রুতগতিতে পালানোর চেষ্টা করে।

এসময় পুলিশ পিকআপটির পিছু ধাওয়া করলে দুস্কৃতিকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে ও ছোরা প্রদর্শন করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা করে। তাৎক্ষণিকভাবে সদর থানায় খবর দিয়ে সহযোগিতা চাইলে হবিগঞ্জ সদর থানার সহযোগিতায় কিবরিয়া ব্রিজের ঢালু এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়।

গাড়ি থামার পর চোরচক্রের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে তিনজন রাস্তায় পড়ে আহত হয়। পরে পুলিশ তাদের আটক করে।

আটককৃতরা হলো,সিলেট জেলা গোয়ািনঘাট উপজেলার পাইকরাজ মাঝপাড়া গ্রামের  মৃত বজেন্দ্র কুমার দেব এর পুত্র উজ্জ্বল কান্তি দেব (৪২),সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার বড় কাপন গ্রামের আসলাম আলী পুত্র: সাদিক (২০) ও সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ছেলাইয়া গ্রামের বর্তমানে টুকেরবাজার, সিলেটের গোপাল জলিলের বাসায় ভাড়াটিয়া আব্দুল গফুরের পুত্র আব্দুর রহিম (১৫)।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার কামারগাঁও জিয়াপুর গ্রাম থেকে দুটি গরু চুরি করে সিলেটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তারা। তাদের আরও ৫–৬ জন সহযোগী পালিয়ে গেছে বলে পুলিশকে জানায়।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ দুলাল মিঞা-জানান, উদ্ধারকৃত দুটি গরু ও পিকআপ ভ্যান পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। গরুর প্রকৃত মালিক শনাক্তে পুলিশ কাজ করছে।

নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) শেখ মো: কামরুজ্জামান জানান,আহত আসামিদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।