সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নগরীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ৮:০১:৫০ অপরাহ্ন
স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক ফৌজিয়া আক্তার ও তার দুই কন্যা আহত হওয়ার প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে সিলেট নগরীর ফাজিলচিশত এলাকায় শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন করেন। ব্যস্ততম এ সড়কে নিরাপদ চলাচলের দাবি জানাতে মুহিবুর রহমান একাডেমির শিক্ষার্থীরা সহ বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে জড়ো হন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের হাতে দেখা যায়- “নিরাপদ সড়ক চাই, এখনই চাই”, “যানবাহনের নিচে আমরা মরতে চাই না”, “হেলমেট ছাড়া নয়, জীবনের ঝুঁকি নয়”, “অভিভাবক-শিক্ষার্থীর এক দাবি, নিরাপদ সড়ক চাই”সহ অসংখ্য প্ল্যাকার্ড।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রাস্তায় পাড়াপাড়ের সময় শিশু ও পথচারীদের সহযোগিতা করা চালকদের দায়িত্ব। ব্যস্ততম এই সড়কে ট্রাফিক পুলিশ জোরদার করা জরুরি। রাস্তায় চলাচলের সময় চালকদের আরও সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে হবে। একটু অসতর্কতা যে কারো জীবন কেড়ে নিতে পারে। গাড়িচলকদের উচিত পথচারীরা রাস্তা পার হওয়ার সময় গতি কমানো এবং থামিয়ে দেওয়া। তারা আরও বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ সময় রাস্তায় অতিরিক্ত ট্রাফিক সদস্য মোতায়েন করা উচিত। সড়কে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত ক্যাম্পেইন পরিচালনারও দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, এ এলাকায় প্রতিদিনই যানবাহন দ্রুতগতিতে চলাচল করে। স্কুল-কলেজগামী শিশুদের জন্য এ সড়ক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই দ্রুত জেব্রাক্রসিং, স্পিডব্রেকার স্থাপন, নিয়মিত পুলিশ মোতায়েন এবং সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- মুহিবুর রহমান একাডেমির রেক্টর সালমা খানম চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ মো. ইমদাদ উদ্দিন, কো-অর্ডিনেটর আব্দুস শহীদ চৌধুরী, শিক্ষক রাসেল আহমদ। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষাথীরা সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফাজিলচিশত এলাকায় স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক ফৌজিয়া আক্তার ও তার দুই কন্যা ওয়াজিফা কবির আয়াত (৮) ও আমায়া কবির (৬)। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মোটরসাইকেল তাদের ধাক্কা দিলে তারা সড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। বর্তমানে গুরুতর আহত শিক্ষক ফৌজিয়া আক্তার ও তার বড় মেয়ে ওয়াজিফা সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।




