সিলেট প্রেসক্লাব-সাংবাদিক মশাহিদ আলী স্টুডেন্ট স্কলারশিপ প্রদান
সাফল্য অর্জন করতে সবার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:১১:১৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী শিক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে হলে সবার আগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে মন্তব্য করে বলেছেন, এইচএসসি পাসের পর চার বছরের শিক্ষাই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ধাপ নির্ধারণ করে দেয়। কাজেই, এ ধাপই হচ্ছে শিক্ষার প্রকৃত ধাপ।
সিলেট প্রেসক্লাব-সাংবাদিক মশাহিদ স্টুডেন্ট স্কলারশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিলেট প্রেসক্লাবের আমীনূর রশীদ চৌধুরী মিলনায়তনে ক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম ও সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো.আবুল কালাম আজাদ।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ও সিলেট প্রেসক্লাব-মশাহিদ স্টুডেন্ট স্কলারশীপ আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক খালেদ আহমদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও স্কলারশিপ প্রাপ্তদের মধ্যে জান্নাতুল আহমদ মৌমি। শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত করেন ক্লাবের সাবেক কোষাধ্যক্ষ কবির আহমদ সোহেল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাবি ভিসি আরও বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। আর শিক্ষার ক্ষেত্রে পিতা-মাতাই সব চাইতে বেশী ভূমিকা পালন করেন। চক-ডাস্টার কালচার জাপান ও চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চালু রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় একটি ব্র্যান্ডের নাম। তবে, ১৭ বছরেও শাবিতে নতুন কোন বিভাগ চালু না হওয়াটা দুঃখজনক। শাবির বর্তমান প্রশাসন আল-কুরআন ও দাওয়াসহ নতুন কয়েকটি বিভাগ চালুর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পাশাপাশি ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আইইআর (ইন্সটিটিউট অব এডুকেশন এন্ড রিসার্চ) চালুর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে-যা সিলেটের মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো.সারওয়ার আলম বলেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাথে জেলা প্রশাসনের একটি সুসম্পর্ক বিদ্যমান। তৎকালীন জেলা প্রশাসক ফয়েজ উল্যাহ-এই প্রেসক্লাবের জন্য ভূমি দান করেছিলেন-যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। নিজেকে একজন মিডিয়াবান্ধব ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিডিয়ার সহযোগিতার কারণেই তিনি সিলেট নগরীকে হকারমুক্ত করে তাদেরকে নতুন জায়গায় পুনর্বাসন করতে পেরেছেন। তিনি সাংবাদিকদের ভালোকাজে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে তিনি ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট চালু করেছেন। কৃষক কল্যাণ ট্রাস্ট চালুরও প্রক্রিয়া চলছে। তিনি স্কলারশিপ প্রাপ্ত সকল শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান এবং এ স্কলারশিপ চালু করার জন্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক মশাহিদ আলীকে ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাংবাদিক মশাহিদ আলী তার একজন ছাত্র। তার ছাত্র এ বৃত্তি প্রবর্তন করেছে-জেনে তিনি আনন্দিত। তিনি বলেন, শিক্ষক পরিবারের সন্তান মশাহিদ আলীর শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বরাবরের। সেই মানসিকতা থেকেই সে এই বৃত্তি চালু করেছে।
অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। এ উপলক্ষে মেধাবী প্রজন্ম নামে একটি স্মরণিকাও প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শাবি’র রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মো. আব্দুল কাদির, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জাবেদ আহমদ, সিলেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হাসানসহ সিলেট প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



