মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে বঙ্গবন্ধু ১০০ ধান চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় খুশি চাষিরা। এ বছর মাধবপুর উপজেলার ১’শ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান। অনেক কৃষককে প্রদর্শনী ও বীজ সহায়তা করা হয়েছে কৃষি অফিস থেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর ২৮ জাতের ধান আবাদ করে অনেক কৃষক আশানুরূপ ফলন পায়নি। সেখানে বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান আবাদ করে লাভবান হয়েছেন শত শত কৃষক। মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের ৫ শতাধিক কৃষক এবার বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান আবাদ করেন। প্রত্যেক কৃষক এই জাতের ধান চাষ করে পেয়েছেন সফলতা।

চৌমুহনী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের আব্দুল বাছির বধু মিয়া জানান, তিনি এ বছর ৪০ শতক জায়গায় বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধানের আবাদ করেন। ৪০ শতক জায়গার মধ্যে ২৫ মণ ধান হয়েছে। খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। এই ধানটি ১৫’শ টাকা মণ বিক্রি করা যায়। ধানটি চিকন ও খেতে সুস্বাদু।

একই গ্রামের কৃষক শাহ আলম জানান, ২০ শতক জায়গায় এবার বঙ্গবন্ধু ১০০ জাতের ধান আবাদ করে টেস্ট করে দেখলাম। ২০ শতক জায়গায় আবাদ করে ৫/৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ২০ শতক জায়গায় ১২ মণের মতো ধান হবে।
কমলপুর গ্রামের কৃষক মাহবুব উদ্দিন জানান, বঙ্গবন্ধু ধানের ফলন অনেক ভালো। আমরা ইদানীং অনেক ধান কেটেছি কাটার পর অনেক ধান হয়েছে। এক ‘কানিতে’(৩০ শতকে) ২৫/২৬ মণ ধান হয়েছে।
মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান জানান, এবার প্রায় ১শ’ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ১শ’ জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। ফলন ভালই। এবার আমরা প্রথম প্রদর্শনী দিয়েছিলাম। এই ধান টা হলো চিকন, খেতে সুস্বাদু এবং এটার পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভালো। এটির ভালো গুণ হল জিংক সমৃদ্ধ ধান এটি।
হবিগঞ্জ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (নাগুড়া) খামার বাড়ির প্রথম বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, বঙ্গবন্ধু ধান হারভেস্ট হয়ে গেছে। খুব ভালো ফলন হয়েছে। ৪০ শতকে ২৫/২৮ মণ ধান পেয়েছেন কৃষকরা। বঙ্গবন্ধু ধানে কোন ব্লাস্ট ছিল না। অল্প সময়ে অনেক ভালো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ধানের দানা অনেক ছোট। যেটা অনেক বেশি দামে কৃষকরা বিক্রি করতে পারবেন। দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না থাকে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।