সিলেট মেডিকেলের সাবেক ভিসিসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগ দাখিল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৯:৪২ অপরাহ্ন

অনলাইন ডেস্ক : নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (২০ এপ্রিল) অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট আদালতের কোর্ট পরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম।
মামলায় দাখিলকৃত অভিযোগপত্র অনুসারে, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য জনাব ডা. মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার জনাব মো. নঈমুল হক চৌধুরী (মো. মঈনুল হক চৌধুরী) ২০১৯ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে সিন্ডিকেট ও ইউজিসির অনুমোদন ব্যতিরেকে কোনোরূপ নিয়োগ বিধি অনুসরণ না করে প্রার্থীদের বয়স ও যোগ্যতার ঘাটতি থাকা সত্বেও ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি প্রদান করেন।
এ ছাড়া ইউজিসির অনুমোদন ব্যতিত নিয়োগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেট থেকে বেআইনিভাবে বেতন-ভাতা প্রদান করার বিষয়টিও অভিযোগপত্রে আনা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, তদন্তকালে অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসাইন ইমন দন্তবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, সিলেটে অত্র চার্জশিট দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক মো. জাবেদ হাবীবের কাছে ৫৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ইসমাইল হোসাইন (ইমন)।
মামলায় আসামি করা হয় সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী, উপপরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) ফাহিমা খানম চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার অঞ্জন দেবনাথ, সহকারী কলেজ পরিদর্শক মাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (পরিবহন ও উন্নয়ন) মো. গোলাম সরোয়ার, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বিলাল আহমদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক (বাজেট) শমসের রাসেল, জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী মো. ফারাজসহ ৫৮ জনকে।