তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন
শাবিতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীদের কেম-ই-কার প্রকল্পের দুর্দান্ত প্রদর্শনী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫:২৯:৩৪ অপরাহ্ন

ডাক ডেস্ক ॥ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড পলিমার সায়েন্স (সিইপি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৮ম আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অন ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ, ইনোভেশন অ্যান্ড এডুকেশন সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ২৪-২৬ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে প্রতিপাদ্য ‘বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রকৌশল’। সম্মেলনে পেপার ও পোস্টার প্রেজেন্টেশনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হয়।
সিইপি বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প কেম-ই-কার উপস্থাপন করেন যেটা সুপার ক্যাপাসিটর ইন্টিগ্রেটেড। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল কেমিক্যাল রিএ্যাকশন এর মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে গাড়ি চালানো। তাছাড়া এটি সম্পূর্ণ রূপে কার্বন-ডাই-অক্সাইড মুক্ত-যা পরিবেশের কোন দূষণ করবে না।
এছাড়াও তারা এই কারের সাথে এনার্জি স্টোরেজ ডিভাইস হিসেবে সুপার ক্যাপাসিটর তৈরি করছে এবং সেটিও তারা এ কনফাররেন্সে উপস্থাপন করে। ভবিষ্যতে কেম ই কারের সাথে সুপার ক্যাপাসিটর ইন্টিগ্রেশন করার লক্ষ্যে গবেষণা চলমান রয়েছে। সুপার ক্যাপাসিটার মূলত উচ্চ ক্ষমতার শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যম, যা স্বল্প সময়ে চার্জ গ্রহণ এবং দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি গাড়ির চার্জিং প্রক্রিয়াকে উল্লেখযোগ্যভাবে দ্রুততর করে, পাশাপাশি ব্যাটারির ওপর অতিরিক্ত চাপ কমায় এবং সিস্টেমের ভোল্টেজ স্থিতিশীল রাখে।
সম্মেলনে সিইপি বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীরা এই প্রজেক্ট টি উপস্থাপন করে। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ তামেজ উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুল ইসলাম, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাস্তাবুর রহমান, প্রফেসর মুহিবুল আলম ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম আমিন।
সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের প্রদর্শিত প্রকল্প ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। শিক্ষকরা সুপার ক্যাপাসিটারের এই নতুন ব্যবহার আগামী দিনের টেকসই ও দ্রুতগতির ইলেকট্রিক যানবাহন প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাস্টের শিক্ষার্থীরা বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরার সুযোগ পাচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা শিক্ষকদের।-বিজ্ঞপ্তি