সুনামগঞ্জে দায়ের কোপে চোর খুন বাড়ির মালিক আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ জুন ২০২৫, ৭:৪৮:০৬ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জে সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি এলাকায় চুরি করতে গিয়ে বাড়ির মালিকের দায়ের কোপে সাইমুন হাসান রনি (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত সাইমুন সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ি গ্রামের মৃত সমুজ আলীর ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন (২৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ইকবাল হোসেন বদিপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৩ জুন মধ্যরাতে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়ার একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। ওই বাড়ির বাসিন্দা ইকবাল হোসেন গভীর রাতে টিন কাটার শব্দ শুনে ঘরের দরজার কাছে গিয়ে দেখেন, এক ব্যক্তি দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। সন্দেহবশত ঘরে থাকা দা নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন বাড়ির ওই বাসিন্দা। দরজা ফাঁক করে যখন ওই ব্যক্তি ভিতরে হাত ঢোকায় তখন ইকবাল ওই লোকের হাতে দা দিয়ে কোপ দেন। এরপর লোকটি পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা বাড়ির আশেপাশে চোরের সন্ধান করলে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শনিবার ভোরে মাইজবাড়ি পূর্বপাড়ার একটি নৌকার আলং এলাকা থেকে রনি নামের যুবকের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। যার হাতে ধারালো অস্ত্রের কাঁটা জখম দেখতে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, নিহত ওই যুবক রাতে বিয়ে বাড়িতে চুরি করার চেষ্টার সময় আহত হন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে রাতের কোনো এক সময় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইকবাল হোসেন নামের ওই বাড়ির বাসিন্দাকে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
অপরদিকে, নিহতের পরিবার দাবি করেছে, ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত সাইমুনের বোন হুসনা বেগম বলেন, আমার ভাই পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। সে কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। আমার ভাই চোর এটা বিশ্বাস করি না। আমার ভাইকে কেউ না কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বলেন, মাইজবাড়ি এলাকা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।