এলাকাবাসী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা
‘ধলাই সেতু’ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন উদাসীন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১:২০:০১ অপরাহ্ন
কোম্পানীগঞ্জ (সিলেট) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সিলেট বিভাগের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ‘ধলাই সেতু’ রক্ষায় এবার একযোগে কাজ করছেন এলাকাবাসী। সেতু রক্ষায় শনিবার (২৬ জুলাই) এলাকাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেন, “ধলাইর পূর্ব পাড়ের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এই ধলাই সেতু। কিছু দুষ্কৃতকারী সেতুর পিলারের গোড়া থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকার বালু মহাল লিজ দিয়েছে। সেতুর ৫’শ গজ দূর থেকে বালু উত্তোলনের কথা থাকলেও তা মানছেন না বালু উত্তোলনকারীরা। সেতু রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসনও উদাসীন। স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি, সচেতন ব্যক্তিবর্গ—এ নিয়ে দফায় দফায় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু, কাজের কাজ যেন কিছুই হচ্ছে না। উপরন্তু, বালুখেকোরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা দরকার। নইলে আমাদের অস্তিত্বে টান পড়বে।”
পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর আলমের সভাপতিত্বে ও মাস্টার নিজাম উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সাহাব উদ্দিন, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা এডভোকেট কামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি শওকত আলী বাবুল, ভোলাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাজী আবুল বাশার, উপজেলা ইসলামি আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার শাহ কোম্পানীগঞ্জী, উপজেলা জামায়াতের যুব বিভাগের সভাপতি ইকবাল হোসেন ইমাদ, সহ সভাপতি কুতুব উদ্দিন, উপজেলা যুব জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ হোসাইন, কলাবাড়ি স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মানিক মিয়া, ওয়ারিছ তালুকদার, সুনা মিয়া সুহান, মজফর আলী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শিবিরের সভাপতি মইনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৪৩৪ দশমিক ৩৫ মিটার দীর্ঘ ও ৯ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি সিলেট বিভাগের একসময়ে দীর্ঘতম সেতু ছিল। দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বিভাগে বর্তমানে এর অবস্থান দ্বিতীয়। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির পাশের ধলাই নদের উভয় তীরের মানুষের যাতায়াতের জন্য ২০০৩ সালে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। সেতুটি নির্মাণে ভ‚মিকা রাখেন-সিলেটের উন্নয়নের রূপকার সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। ধলাই সেতু নির্মিত হওয়ায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর, উত্তর রণিখাই ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষ সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আসে। পাশাপাশি দেশের সর্ববৃহৎ ভোলাগঞ্জ কোয়ারি থেকে পাথর পরিবহন সহজ হয়।




