সিলেট চেম্বার নির্বাচন, দুই প্যানেলের দাবি তাদের রীটে স্থগিতাদেশ খারিজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৭:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচনের স্থগিতাদেশ খারিজ করে নিয়েছেন উচ্চ আদালত। দুটি প্যানেলের পক্ষেই আদালতে আবেদন করা হয়েছিলো। সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি প্রার্থী ফালাহউদ্দিন আলী আহমদ। অন্যদিকে খারিজ করায় নগরীতে আনন্দ র্যালি বের করেছে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম। উভয় পক্ষই দাবি করেছেন, তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ফালাহউদ্দিন আলী আহমদ বলেন, হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত স্থগিতাদেশ খারিজ করে দিয়েছেন। এতে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, এখন নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি থাকলে পূর্ব নির্ধারিত ১ নভেম্বরেই নির্বাচন করা সম্ভব। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসকের উপর নির্ভর করছে।
অন্যদিকে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের অর্ডিনারী শ্রেণীর পরিচালক পদপ্রার্থী কামরুল হামিদ, শামসুর রহমান কামাল এবং এসোসিয়েট শ্রেণীর পরিচালক পদপ্রার্থী মো. ইব্রাহীম খলিল হাইকোর্টে এই স্থগিতাদেশের বিপক্ষে গত ২৫ অক্টোবর রিট করেন। যার ফলে হাইকোর্ট বিভাগ গতকাল বুধবার সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের স্থগিতাদেশ খারিজ করেন। এ উপলক্ষে সিলেট ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের নিয়ে নগরীতে আনন্দ র্যালি বের করা হয়। নগরীর বারুতখানা পয়েন্ট থেকে আনন্দ র্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
সিলেটের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন গত ২৬ অক্টোবর স্থগিত করা হয়। ভোটের ৫ দিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন-১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক আমিরুজ্জামান দুলুর আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৩ পাতার একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন তিনি। যার প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় নির্বাচন স্থগিত করে।
এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টে সাঈদা পারভীন বলেছিলেন, “চিঠিতে বলা হয়েছে ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার কথা। মূলত তালিকায় কিছু সমস্যা নিয়ে কয়েকজন সদস্য অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করা হবে।”
উল্লেখ্য, নির্বাচনে দুটি প্যানেল সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।



