ওসমানীনগরে বাবা-মেয়ে, কোম্পানীগঞ্জে পর্যটক
সিলেটে সড়কে প্রাণ ঝরলো তিনজনের
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ৭:৪০:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: সিলেটে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ে ও এক পর্যটকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ৯ জন। গতকাল শনিবার সকালে ওসমানীনগরে ও দুপুরে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে এই দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।
কোম্পানীগঞ্জ থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১২টায় সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মো: জিয়াউল হক (৬৫) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়। তিনি জামালপুরের মৃত মোবারক চেয়ারম্যানের ছেলে। এ ঘটনায় আরো ৫ জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন- সম্রাট (৩৭), তার স্ত্রী সুমাইয়া (২৮), মেয়ে সাওদা (১০) ও ছেলে সিনান (৮) এবং সিএনজি চালক রমজান আলী। এদের মধ্যে সিনানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ পিপিএম জানান, সিলেট থেকে পর্যটকবাহী সিএনজি সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। ভোলাগঞ্জ পয়েন্টে সিএনজি অটোরিকশা আসামাত্র শাহ আরেফিন টিলার পাথরবাহী ট্রাক্টর দ্রুতগতিতে মহাসড়কে উঠার সময় সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দেয়। এসময় সিএনজি অটোরিকশার চালকসহ ৬ জন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়াউল হককে মৃত্যু ঘোষণা করে। মৃত ব্যক্তি সহ সবাইকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গাড়ি দুটি জব্দ রয়েছে।
ওসমানীনগর থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একই পরিবারের ৪ জন। নিহত ও আহতরা সবাই একই পরিবারের বলে জানায় পুলিশ।
এতে নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকার চালক ও ওসমানীনগর উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো.সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও তার মেয়ে আনিসা (৮)। আহতরা হলেন- নিহত হারুনের তিন বোন রাইমা বেগম, মুন্নি বেগম, পান্না বেগম ও ভগ্নিপতি মুকিত মিয়া।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওসমানীনগর থানা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস -মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন বলেন,সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের উমরপুর-খাদিমপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। লাশ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি।
জানতে চাইলে শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে বলেন, নিহতের লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়িই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।




