স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ মার্চ ২০২৩, ৭:৫১:২০ অপরাহ্ন
অরূপরতন চৌধুরী
স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সরকারের দখলকৃত এলাকার ৬টি বেতারকেন্দ্র থেকে অবিরাম প্রচণ্ডভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ভয়াবহভাবে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়া হয়েছে একমাত্র স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষের ওপর নারকীয় হত্যাকাণ্ড ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। খুনিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য অসংখ্য মানুষ দেশ ত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে। একই সঙ্গে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শুভসূচনা হয়েছিল মুজিবনগরে ৫০ কিলোওয়াট মাধ্যম তরঙ্গ শক্তিসম্পন্ন ২৫ মে ১৯৭১-এ। প্রথম থেকেই উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে শুরু হয়েছিল এই বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রচার। প্রতিদিন সকাল ৭টা ও সন্ধ্যা ৭টা- এ দুই অধিবেশনে শুরু হয়েছিল অনুষ্ঠান। তবে তারও আগের ইতিহাস হচ্ছে, চট্টগ্রাম বেতারের কালুরঘাট ট্রান্সমিটারে বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে সংগঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম বেতারের দশ নিবেদিত কর্মী, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনগণের সহযোগিতায়। তবে বিপ্লবী বেতারকেন্দ্রের দশজন- যাদের নাম স্মরণ করতেই হবে এবং যারা সার্বক্ষণিক সংগঠক ছিলেন। তারা হলেন বেলাল মোহাম্মদ, সৈয়দ আবদুস শাকের, আবদুল্লাহ আল ফারুক, মোস্তফা আনোয়ার, রাশেদুল হোসেন, আমিনুর রহমান, শারফুজ্জামান ও কাজী হাবিবুদ্দিন। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শামসুল হুদা চৌধুরীর গ্রন্থে এসবেরই উল্লেখ আছে। বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের উদ্যোক্তা ছিলেন বেলাল মোহাম্মদ। এই বেতারকেন্দ্রের প্রথম অধিবেশন সংগঠনের অন্যান্য উদ্যোক্তা ছিলেন আবুল কাশেম সন্দ¦ীপ, স্থানীয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার মনজুলা আনোয়ার, ডাক্তার সৈয়দ আনোয়ার আলী, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুল ইসলাম, দিলীপ চন্দ্র দাশ, কাজী হোসনে আরা প্রমুখ। দুই দিন পর এ বেতারকেন্দ্রের নাম থেকে বিপ্লবী কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছিল। ১৭ এপ্রিল ১৯৭১-এ কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় অস্থায়ী সরকার অনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের প্রচার জোরদার করার উদ্দেশ্যে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রকে নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব অর্পিত হলো আবদুল মান্নানের (এমএনএ) ওপর। পরে কলকাতার ৫৭/৮ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কাজ চলত ছোট্ট একটি দ্বিতল বাড়িতে। চরমপত্র (বিশেষ ব্যঙ্গ রচনা), অগ্নিশিখা (মুক্তিবাহিনীর জন্য অনুষ্ঠান), জাগরণী (উদ্দীপনামূলক গানের অনুষ্ঠান), ইংরেজি-বাংলা খবর ইত্যাদি দিয়েই শুরু হয়েছিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান। চরমপত্র লিখতেন ও পড়তেন এমআর আখতার মুকুল। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা করেছিলেন আবদুল মান্নান (ভারপ্রাপ্ত এমএনএ)। অগ্নিশিখা মুক্তিবাহিনীর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, প্রযোজনা ও নামকরণ করেন টিএইচ শিকদার।
অনুষ্ঠানে বাণীবদ্ধ করার জন্য স্টুডিও ছিল মাত্র একটি। পরে আরও একটি কক্ষ খালি করে অনুষ্ঠান রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এগুলোয় পেশাগত স্টুডিওর মতো কোনো শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না, ছিল না প্রয়োজনীয় বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রী। কিন্তু সৃষ্টি হয়েছিল কালজয়ী কিছু গান। যেমন ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল’, ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’, ‘নোঙ্গর তোল তোল’, ‘সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের’, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ ইত্যাদি আরও গান। দ্বিতল বাড়ির নিচতলায় ছিল আমাদের রান্নাঘর। ওখানেই আমরা খেতাম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গানের রিহার্সেল ও রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ করে ওই বাড়ির দোতলায় স্টুডিওর পাশের রুমে খোলা মেঝেতেই চাদর পেতে শুয়ে পড়তাম আমরা।
তখন আমি যুবক। ঢাকা ডেন্টাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মাত্র ১৮ বছর বয়সের তরুণ। এই বয়সে নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণে আমি মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে পড়ি। ঘরে বসে থাকতে পারিনি। যোগাযোগ করতে থাকি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জনের সঙ্গে। আমি ঢাকা থেকে জুন মাসেই ঘর থেকে বের হয়ে আরিচা, দাউদকান্দি ইত্যাদি স্থান যখন পাকিস্তানি আর্মি, মিলিশিয়া ও রাজাকার-আলবদরের একটি রণক্ষেত্র ওই মুহূর্তে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সব বাধা পার হয়ে ভারতের আগরতলা পৌঁছাই। সেখানে গিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ি এবং আগরতলা পৌঁছে চলে যাই কলেজ টিলায়। সেখানে থাকতেন আমাদের নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে আগে পরিচয় থাকায় আমাকে পাঠিয়ে দেন মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা দেওয়ার জন্য নিয়মিত গান-বাজনা হতো। একই সঙ্গে থাকত মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং। সেখানেই আমার সঙ্গে দেখা হয় মরমি কণ্ঠশিল্পী সন্দার আলাউদ্দীনের। আমি আর আলাউদ্দীন ভাই তখন একসঙ্গেই বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধের গান করি। একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতারে চলে যাব। যেই ভাবা, সেই কাজ। দুজন মিলে একদিন চলে গেলাম আগরতলা ধর্মনগর থেকে ট্রেনে আসাম, দার্জিলিং, শিলং হয়ে কলকাতা। ইতোমধ্যে সংবাদ পেলাম স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র কলকাতার ৫৭/৮ বালীগঞ্জ সার্কুলার রোডে কাজ শুরু করেছে। অবশেষে যোগদান করলাম আমার গন্তব্যস্থল স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে।
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রে যোগাদান করার পর একজন কণ্ঠ সৈনিক হিসেবে সংগীত পবিবেশনই ছিল আমার মূল কাজ। বহু সংগীত পরিবেশন করেছি দীর্ঘ ৯ মাসে। এর মধ্যে সমবেত ও দ্বৈতভাবে সংগীত পরিবেশন করি। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত আমার প্রথম গাওয়া দ্বৈত সংগীত কথা শহীদুল ইসলাম, সুর হরলাল রায়, আমার সহশিল্পী ছিলেন তখনকার ইংরেজি সংবাদ পাঠক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড নাসরিন আহমেদ। গানের কথা- ‘জ্বলছে জ্বলছে প্রাণ, আমার দেশ আমার।’ গানটি স্বধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ২১ অক্টোবর ১৯৭১-এ দ্বিতীয় অধিবেশনে। গানটি শুরুর আগে ঘোষক ঘোষণা করেন, এবার শুনবেন একটি দেশাত্মবোধক গান। দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছেন শিল্পী অরূপরতন চৌধুরী ও নাসরিন আহমদ। গানটি প্রচারের দিন আমার নাম প্রথমবারের মতো স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। ওইদিন থেকেই বাংলাদেশে থাকা আমার মা-বাবা ও ভাই-বোন জানতে পারেন, আমি বেঁচে আছি। কারণ যুদ্ধে যাওয়ার কথাটি আমি কাউকে বলিনি, এমনকি আমার মা-বাবা ও ভাই-বোনকেও না। তবে যুদ্ধে গিয়ে তাদের জন্য আমার অনেক কষ্ট হতো। তা ছাড়া দেশে আমার পরিবারের সবাই ছিলেন অনেক দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠায়। কারণ আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি- এ কথা হানাদার বাহিনী বা রাজাকার-আলবদর জানতে পারলে আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ভূমিকা ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ। বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত যুদ্ধ সংবাদ, সংগীত, কবিতা, নাটক, কথিকা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের সরব উপস্থিতি ওই সংকটকালে সবার জন্য ছিল নবউদ্যামে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া ও মনোবল না হারানোর অনুপ্রেরনক। মানুষের আগ্রহ আর ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বেতারকেন্দ্র।
ওই সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শুধু অনুপ্রাণিত আর উৎসাহিতই করেনি, একই সঙ্গে যারা বাংলাদেশে ছিল- তাদেরও উৎসাহিত করেছে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহয্য করতে। গানগুলো এখন নতুন প্রজন্মের কণ্ঠেও ধ্বনিত হয়। তাদেরও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
এ কথা আজ অনস্বীকার্য, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রটি সৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ অনেক সংগঠিত ও গতিশীল হয়েছিল। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রটি এ দেশের মানুষের জন্য যেমন ছিল একটি আশা-ভরসার স্থান, তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ছিল উৎসাহ আর প্রেরণার স্থান। মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য সেক্টরের মতো এ বেতারকেন্দ্রটিও ছিল আরেকটি সেক্টর- যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবরই শুধু প্রচারিতই হতো না, অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধকেও পরিচালিত করত এই স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র। আর এই বেতারকেন্দ্রের একজন কণ্ঠসৈনিক ছিলাম আমি। এ জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করি।
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রটির সফলতা ছিল একটি সুন্দর টিম ওয়ার্কের জন্য। অনেক কণ্ঠশিল্পী, নাট্যকর্মী, সংবাদ পাঠক, কলাকৌশলী ও সংগঠক তখন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রকে সচল রেখেছেন। যাদের অনেকেই আজ নেই, তাদের সবার নাম আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। এই বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিকরা সাড়ে সাত কোটি মুক্তিকামী বাঙালির মনোবল অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দিবারাত কাজ করেছেন। তাদের ক্ষুরধার প্রচার মুক্তিযুদ্ধের গতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সর্বাত্মকভাবে। এই বেতারকেন্দ্রের একেকটি শব্দ ইথার ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে একেকটি বুলেট হয়ে।
কলকাতার ৫৭/৮ বালীগঞ্জ সার্কুলার রোডে আজও বীরদর্পে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ভবনটি। বয়সের ভারে মলিন হয়েছে ভবনের রঙ। আশপাশে আরও বড় ভবনের পাশে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের মূল ভবনটিকে ছোট মনে হয়। কিন্তু আমাদের হƒদয়ে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা অনন্য এ স্থাপনাটির অবস্থান আজীবন আকাশ সমান তবে তরুণ প্রজন্মের কাছে যেন ওই কথা, আমাদের ওই অনুভূতি অব্যক্ত থেকে না যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধে এ কেন্দ্রটির অসামান্য অবদান ইতিহাসের আড়ালে যেন চাপা না পড়ে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভবনটির যথাযথ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের দলিল হিসেবে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করা প্রয়োজন- যাতে আগামী প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’-এর সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে।
ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও ভারতের সহায়তা ছিল অগ্রগণ্য। তাই ভারত সরকারের কাছ থেকে ভবনটির স্বত্ব প্রয়োজনে কিনে নিয়ে হলেও ইতিহাস সমৃৃদ্ধ ‘স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র’ মুক্তিযুদ্ধের স্মারকচিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণ এবং একটি জাদুঘরে রূপান্তর এখন সময়ের দাবি। এ বিষয়ে আশুপদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।