পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
বড়লেখার কারান্তরীণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ১১ মামলা, মুক্তি দাবি
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:৪৭:৫১ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার : বড়লেখা পৌরসভায় মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করা সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর মুক্তি দাবি করেছে পরিবার। গত এপ্রিলে একটি মামলায় গ্রেফতারের পর কারাগারে থাকাবস্থায় আরো ১০ মামলা দায়ের করে তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সাইদুল ইসলামের চাচাতো ভাই নুরুল ইসলাম রাফিন।
লিখিত বক্তব্যে রাফিন বলেন, বড়লেখা পৌরসভার গাজিটেকার (আইলাপুর) মৃত আব্দুল খালিকের ছেলে সাইদুল ইসলাম একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী, সমাজসেবক এবং এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তিনি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত না থাকলেও অসহায়, দুস্থ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে গেছেন। কিন্তু গভীর উদ্বেগের বিষয়- তার জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা এবং সম্মান বিনষ্ট করতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ার হিসেবে তাকে বারবার টার্গেট করেছে একটি কুচক্রি মহল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা ও সাজানো মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরের ২০ এপ্রিল প্রথমবারের মতো গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে পাঁচ মাস ধরে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। এই সময়ে তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যখনই তার জামিন হয়েছে, তখনই প্রতিপক্ষ পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে নতুন মামলা দিয়ে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অথচ, সাইদুল ইসলাম বিগত ফ্যাসিবাদের ১৫ বছরে অন্তত তিনটি মামলার শিকার হয়েছেন এবং ২০২০ সালে পৌরসভা নির্বাচনে সরকার দলীয় ক্যাডাররা জোরপূর্বক তার বিজয় ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন রাফিন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে হামলা মামলা শিকার হওয়ার পরও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় তাকে আওয়ামী লীগ বানিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। এই মিথ্যা মামলার সাথে রাজনৈতিক দলের কিছু অসাধু নেতা এবং প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত।
বৈষ্যম্য বিরোধী আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে এমন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা কখনোই কাম্য নয় জানিয়ে রাফিন বলেন, একটি কুচক্রি মহল শুধু মামলা দিয়েই সীমাবদ্ধ থাকেনি, তারা নানাভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এবং হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পাশাপাশি, সাইদুল ইসলামের স্ত্রীর কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদাও দাবি করা হয়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাইদুল ইসলামের সন্তানরা মানসিকভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সাইদুলের পরিবার প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করে দায়ের করা সব মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাঁর মুক্তির দাবি করেন। একইসঙ্গে এই চক্রান্তের পেছনে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে সাইদুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা ইসলাম ও তাদের তিন শিশুসন্তান, বোন সালেহা বেগম উপস্থিত ছিলেন।