প্রয়োজনে পিটার হাস অধিকতর নিরাপত্তা পাবেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : ঢাকায় অবস্থানরত বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার সব কূটনীতিকের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস হুমকি অনুভব করেছেন। বাংলাদেশ তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে। আরও যদি অধিকতর নিরাপত্তা লাগে, তাও ব্যবস্থা করা হবে।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশনের আইন-কানুন জানেন। উনি (পিটার হাস) এক বাসায় গিয়েছিলেন। আমরা এ সম্পর্কে কোনো খবর জানতাম না। যখন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন, ওখানে আরেক দল ‘মায়ের কান্না’ রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। যখন বের হচ্ছিলেন তখন দলটি পিটার হাসের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। তখন তিনি ‘মায়ের কান্না’র সঙ্গে কথা বলেননি।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, পিটার হাস ‘মায়ের ডাকে’ গিয়ে ‘মায়ের কান্না’ শুনে এসেছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কখনো কি শুনেছেন যে বাংলাদেশে কোনো কূটনীতিককে হত্যা করা হয়েছে? ভয় পান কেন?
এ সময় তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে বোমা বিস্ফোরণে বাংলাদেশে নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী আহত হওয়ার ঘটনার কথা স্মরণ করেন।
ছোট্ট একটি ঘটনার কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক বহুমুখী।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে একটি পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে মার্কিন দূতের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানানো হয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) তার নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত। আমাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে ২০১৩ সালে নিখোঁজ হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় যান। সেখানে তিনি ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়কারী নিখোঁজ সুমনের বোন সানজিদা ইসলাম তুলিসহ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এ খবর পেয়ে সেখানে ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা ১৯৭৭ সালে সেনাশাসনের সময়ে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার ন্যায়বিচার চেয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে স্মারকলিপি দিতে তাকে ঘিরে ধরে। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত মায়ের কান্নার সদস্যদের সঙ্গে কথা না বলে তার নিরাপত্তা কর্মীদের সহায়তায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। সেখান থেকেই তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।