ভারতের তিস্তায় বাড়ছে পানি, হলুদ সংকেত
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুন ২০২৩, ৮:৪৯:৫১ অপরাহ্ন
খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট
ডাক ডেস্ক : উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার উজানে ভারতে তিস্তা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকায় হলুদ সংকেত জারি হয়েছে। সেই পানি উজান থেকে ভারতের মেখলিগঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্ট দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ইতিমধ্যে উজানের ঢলের পানির চাপ কমাতে নীলফামারীর ডালিয়া ও দোয়ানীতে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দোমহনী বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারত তাদের এলাকার দোমহনী থেকে মেখলিগঞ্জ (বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত) হলুদ সংকেত জারি করেছে।
তারা বলছে, সিকিম, দার্জিলিং পাহাড়ে ও সমতলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি কারণে গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজে পানির পরিমাণ বেড়ে গেছে। এ কারণে বেশ কিছু জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজ থেকে ২৫৬৪ কিউসেকের বেশি পানি ছাড়া হয়েছে। উজানের পাহাড়ে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে তিস্তা নদী পানি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ভারতের দোমহনী পয়েন্টে আরো বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার (৮৫.৯৬) অতিক্রম করে ৮৬.০১ মিটার বাড়বে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ভারতের দোমহনী পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ৮৫.৬৫ মিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র গেজ রিডার নুরুল ইসলাম জানান, আমরা ভারতের দোমহনী তিস্তা পয়েন্টে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে জানতে পেরেছি ভারতের দোমহনী পয়েন্টে তারা হলুদ সংকেত জারি করেছে। তিস্তার পানি ভারতের ওই পয়েন্টেও বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা হলুদ সংকেত ঘোষণা করেছে। উজানের ঢল নামলে তলিয়ে যেতে পারে তিস্তার উজান ও ভাটি অঞ্চলের চরাঞ্চলের বসবাসকৃত মানুষজনের ঘরবাড়ি।
এ বিষয়ে ফোনে কথা হলে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা জানান, উজানের পানি ও আষাঢ়ের বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর বিপদসীমা ৫২.৬০ মিটার। গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটা পর্যন্ত ডালিয়া পয়েন্টে ৫১.৫০ মিটার দিয়ে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে, সকাল ৬টায় পানির প্রবাহ ছিল ৫১.৩৭ মিটার। উজানের ঢলে ৯ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৩ সেন্টিমিটার।
তিনি জানান, যেহেতু উজানে ভারত তাদের অংশে হলুদ সংকেত জারি করেছে সেহেতু আমরা আমাদের এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করেছি এবং উজানের ঢল সামাল দিতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।