সিলেটে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও কেমুসাসের যৌথ আসর
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৫৩:২০ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : সিলেটে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ও কেমুসাসের যৌথ সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) নগরীর দরগাহ গেইটে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি সিলেট ইউনিটের যৌথ আয়োজনে বিশেষ সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত হয়।
আসরে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক (বাস্তবায়ন) মো. কামাল হোসাইন।
কেমুসাসের কার্যকরী পরিষদ সদস্য ফায়যুর রাহমানের সভাপতিত্বে আসরে স্বাগত বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র সিলেটের লাইব্রেরি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সিলেট বিভাগীয় গণগ্রন্থাগারের উপপরিচালক ও প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান দিলিপ কুমার সাহা, কেমুসাসের পাঠাগার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ তাহের ও অধ্যাপিকা চামেলী বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক (বাস্তবায়ন) মো. কামাল হোসাইন বলেন, প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গী ও জাগ্রত অনুভূতি সৃষ্টিতে বই পড়ার বিকল্প নেই। বইপড়া মানুষই প্রসারিত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সমাজকে আলোকিত করতে পারে। নানা ক্ষেত্রে অবদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। তাই পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে হবে।
তিনি আরও বলেন, বইয়ের কাছাকাছি এলে শিশুকিশোররা জিপিএ-৫ নির্ভর না হয়ে মানবিক, সাংস্কৃতিক ও আলোকিত এবং উচ্চমূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে। সুস্থ সাংস্কৃতিকচর্চার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও আলোকিত দেশে রূপান্তর করতে পারবে।
স্বাগত বক্তব্যে কেমুসাসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মবনু বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীনতম সাহিত্য প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজ ৮৭ বছর অতিক্রম করছে। এদেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পাশাপাশি ভাষা আন্দোলনে ও স্বাধীনতা আন্দোলনে এ প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত সাহিত্য আসর এবং সমৃদ্ধ পাঠাগার ও জাদুঘর সবার জন্য উন্মেক্ত রেখে লেখক-পাঠক সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রও একই ধারায় কাজ করে যাচ্ছে। একই উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত দুটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ আয়োজনে আজকের সাহিত্য আসরটি আগামী দিনের সাহিত্য-সংস্কৃতি আন্দোলনকে আরও বেগবান করবে বলে।’ তিনি যোগ করেন।
অনুষ্ঠানে লেখা পাঠ এবং আলোচনা ছাড়াও কুইজ, সঙ্গীত ও ছড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন রেজাউল হক, আবদুস সামাদ, আনিস, কাবেরী রাণী রায়, আসমা বেগম, মো. তাহমিদ খান, ফাইজাহ, সুমা রাণী চৌধুরী, অরিত্র, ইতি মল্লিক, সায়ন্তিকা রায় শ্রেয়া, শিজিনী তালুকদার ও রুদ্র জ্যোতি দাশ।