ওয়ান-ইলেভেনের সেই কালো অধ্যায়
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ মে ২০২৪, ২:২০:৫৭ অপরাহ্ন
শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি :
ওয়ান-ইলেভেন সরকারের হাতে দেশের অনেক রাজনৈতিক নেতা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সেই নির্যাতনের বিভীষিকা আজও অনেকের মনে দগদগে ঘা হয়ে আছে। জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতনের জঘন্য সাক্ষী প্রবাসী নেতৃবৃন্দসহ সিলেট আওয়ামী লীগের ৪০ জন নেতাকর্মী। সিলেট শহরতলির বটেশ্বরে আমার বড় ভাইয়ের বাগানবাড়িতে সামাজিক এক অনুষ্ঠান থেকে আমাদের গ্রেফতার করা হলো। এরপর কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে কেটেছে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস। ঘটনার আজ ১৭ বছর পার হলেও এখনো সেই ভয়ংকর স্মৃতির কথা মনে হলে শিউরে ওঠেন অনেকে।
ওয়ান-ইলেভেনের ফখরুদ্দীন ও মইন উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এক পর্যায়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ২০০৭ সালের মে মাসে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে যাত্রাবিরতি করেন। এরপর দেশের পথে রওনা হলে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ তাঁকে বহনে অনীহা প্রকাশ করে। জননেত্রী শেখ হাসিনা তখন লন্ডনে আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার বাসায় ওঠেন। সেখান থেকে আবার হোটেলে উঠতে বাধ্য হন। পরে ইতিহাদ এয়ারওয়েজে দেশে ফেরার আগে তিনি লন্ডনে আমাদের ‘দিলশাদ রেস্টুরেন্টে’ সংবাদ সম্মেলন করে ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিন সরকারের অন্যায়-অবিচারের চিত্র তুলে ধরেন।
এখানে আমাদের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান দিলশাদ রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে কিছু কথা বলতে হয়। এই রেস্টুরেন্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য। আমার আব্বা মরহুম আবদুল মতলিব চৌধুরী এই রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬৯-এর গণআন্দোলনের সময়ও বঙ্গবন্ধু এই রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন সময় সভায় বসতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী মরহুম ওয়াজেদ মিয়া নিয়মিত এই রেস্টুরেন্টে যেতেন।
বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আমার বড় ভাই মতিউর রহমান চৌধুরী ও আব্বার পরিচয় ছিল। সেই সুবাদে আমাদের পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের রাজনৈতিক ও পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বলা চলে, যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সার্বিক রাজনৈতিক তৎপরতার ক্ষেত্রে দিলশাদ রেস্টুরেন্টের ঐতিহাসিক ভূমিকা রয়েছে। যা হোক, ২০০৭ সালের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় পৌঁছালে আমরা সিলেট থেকে বেশ কয়েকজন নেতা তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হই। আমার সঙ্গে আরও যারা ছিলেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, প্রিন্স সদরুজ্জামান, সৈয়দ শামীম আহমদ ও জগলু চৌধুরী।
সেদিন বিমানবন্দর থেকে নেত্রী ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করতে চাইলেও ১/১১ সরকারের নানা প্রতিবন্ধকতায় তা আর সম্ভব হয়নি। পরদিন ৮ মে দিনের বেলা আমার সঙ্গে থাকা নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সুধাসদনে গিয়ে নেত্রীর সঙ্গে দেখা করি। তখন তাঁর সঙ্গে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা থেকে যেসব প্রবাসী নেতৃবৃন্দ এসেছিলেন, তাদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান নেত্রী। সেই ভোজসভায় আমিও অংশ নিই। সেখানে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ সিলেট আসার আগ্রহ প্রকাশ করলে আমি সানন্দে তাদের আতিথেয়তা দিতে সম্মত হই এবং তাৎক্ষণিক আলাপ-আলোচনায় আমরা তারিখ নির্ধারণ করি। সিদ্ধান্ত হয় ১৪ মে তারা সিলেট আসবেন। আমার বড় ভাইয়ের বটেশ্বরের বাগানবাড়িতে তাদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করি। এটা কোনো রাজনৈতিক সভা বা কর্মসূচি ছিল না। তবে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি এ আয়োজন করি। সেখানে গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ছিলেন, তারাও মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। কোনো সমস্যা আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে, কোনো সমস্যা নেই- বলে আমাকে আশ্বস্ত করে।
কিন্তু এরপরই কলঙ্কজনক ঘটনার জন্ম দিল ১/১১ সরকার। বিকাল ৩টার দিকে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে ফেলে র্যাব-পুলিশসহ যৌথ বাহিনী। এক পর্যায়ে তারা আমাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। অবশ্য বয়স এবং অসুস্থতার কারণে চারজনকে তারা ছেড়ে দেয়। সৌভাগ্যবান সেই চার ব্যক্তি হলেন- যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ জননেতা সুলতান মাহমুদ শরীফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, লন্ডন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছমরু মিয়া ও প্রবীণ আইনজীবী হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করা জরুরি, যৌথ বাহিনী সিলেট অঞ্চলের প্রধান মোশাররফের নেতৃত্বে আমাদের গ্রেফতার অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন তারেক নামের এক মেজর। তিনি ওই সময় আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন। কথায় কথায় গালাগালি শুনে আমরা অবাক হয়েছিলাম। কোনোভাবেই একজন ভদ্র অফিসার এভাবে বলতে পারেন না। এতটা বাজে ব্যবহার তিনি করেছিলেন।
সেখান থেকে বাসে করে আমাদের আদালতপাড়া ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কোতোয়ালি মডেল থানায়। সেখানে রাত ১২টা পর্যন্ত টানা প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা আমাদের বিভিন্ন এজেন্সির লোকজনের মুখোমুখি হতে হয়, চলে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ। বিনা দোষে সামাজিক একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের অপরাধে আমরা ৪০ জন মানুষকে এভাবে বিধ্বস্ত হতে হবে, স্বপ্নেও ভাবিনি কখনো। মধ্যরাতে পাঠানো হয় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে।
পরদিন আমার সঙ্গে দেখা করেন অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও অ্যাডভোকেট মশাহিদ আলী, অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চৌধুরী এবং অ্যাডভোকেট আবদুল হাই। তাদের ওপর আমাদের মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আমাদের গ্রেফতারের বিষয়ে সে সময় গণমাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চাইনিজ পার্টির নামে রেস্টুরেন্টে সরকারের মদদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয় না। কিন্তু সিলেটে আমার দলের নেতাকর্মীদের সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হলো। শুরু হলো আইনি লড়াই। আমার ছোট ভাই হামিদুর রহমান চৌধুরী আনোয়ার লন্ডনের ব্যবসা-বাণিজ্য ফেলে দেশে ছুটে আসে। নিম্ন আদালত, জজ কোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত চলে দৌড়ঝাঁপ। এ সময়টাতে আমার গোটা পরিবার পাশে ছিল। ৪০ জন মানুষের আইনি লড়াই চালানোর খরচ বহন করে আমার পরিবার। আইনি লড়াই শুরুর ১৩ দিনের দিন আদালত আমাদের সবার জামিন মঞ্জুর করলেও মুক্তি পেয়েছিলেন ২৬ জন। তৎকালীন সরকারের কূটচালে আমিসহ অপর ১৪ জনকে মাসের পর মাস ডিটেনশন দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। যারা প্রথম ধাপে মুক্তি পেয়েছিলেন তারা হলেন- শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ফারুক চৌধুরী, সৈয়দ শাহেদ রেজা, সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সরওয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ চৌধুরী, এম এ রহিম সিআইপি, সৈয়দ আবুল কাশেম, এ টি এম শোয়েব শিকদার, ইয়াহইয়া আহমদ, ইয়াকুতুল গনি ওসমানী টিটু, মোজাহিদ আলী সুহেল, কবিরুল ইসলাম কবির, অরুণোদয় পাল ঝলক, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম, মুহিবুর রহমান লাভলু, কামরুল ইসলাম খোকন, আরিজ আলী, শরিফ খান মনি, সৈয়দ শাফকাত আজিজ, মিজান খান, তোরণ মিয়া, রিমন চৌধুরী, আবু সাঈদ চৌধুরী, আবদুর রকিব সিকদার ও শফিকুল ইসলাম চৌধুরী টুনু।
আমরা অপর ১৪ জন থেকে গেলাম কারাগারের অন্ধকারে। বারবার ডিটেনশন দিয়ে আমাদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছিল। প্রায়দিন আমাদের জানানো হতো- আগামীকাল আপনাদের জামিন মঞ্জুর হচ্ছে, মুক্তি পাচ্ছেন। আমরা জামাকাপড় পরে যখন প্রস্তুত হতাম, তখন শেষ মুহূর্তে এসে জানানো হতো- না, আপনাদের জামিন হয়নি। প্রায়ই এমন হয়েছে আমাদের সঙ্গে। বিভিন্ন এজেন্সির লোকজন জেলে জিজ্ঞাসাদের নামে আমাদের মানসিক নির্যাতন করেছে। তল্লাশির নামে বিছানা কাপড়চোপড় এলোমেলো করা হতো। পরিবার পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন আমরা তখন প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে নিজেদের জীবন বিপন্ন বলে মনে করতাম। আমরা সপ্তাহজুড়ে খতমে ইউনুস পড়তাম। প্রত্যেক বৃহস্পতিবার সেই খতমের মোনাজাত হতো। এমন মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে একরাতে স্বপ্ন দেখলাম, আমি আমার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে হজ পালন করছি। পরদিন সকালেই আমার ভাই জেলে দেখা করতে এলে, তাকে বলেছিলাম- ‘ওদেরকে তৈরি থাকতে বলো, হজে যাব। ’
কয়েকদিন পর একদিন সেই সুসংবাদ এলো। ওই বছরের অক্টোবরের ৪ তারিখ মহামান্য হাইকোর্ট জামিনের আদেশ দিলে আমাদের ১৪ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। এ পর্যায়ে আমরা যারা কারাগার থেকে মুক্তি পেলাম তারা হলেন- অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শামীম, প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, জগলু চৌধুরী, হাবিবুর রহমান সেলিম, শামসুল ইসলাম মিলন, ইউসুফ আলী, সাইফুল আলম সিদ্দিকী টিপু, সেলিম রেজা ও আসাদুজ্জামান আসাদ।
মুক্তির পরপরই যুক্তরাজ্যে থাকা আত্মীয়স্বজনের কাছে ছুটে যাই। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সাক্ষাৎ করি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ রেহানার সঙ্গে। সেখানে ওয়ান-ইলেভেন সরকারের আমালে কিছু কিছু আওয়ামী নামধারী নেতাদের ব্যাপারেও আলাপ হয়। তখন তিনিও অনেকের অসহযোগিতার কথা বলেন। এরপর আমি আমার স্ত্রী ও বোনকে নিয়ে সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন করতে যাই।
কারান্তরীন থাকাকালে আমাদের অনেক বন্ধু ও আত্মীয়স্বজন দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন, খাবার নিয়ে গেছেন। তাদের সবার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় আমার সম্বন্ধি চৌধুরী ফজলে নূরের কথা। আর আমাদের সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিত। যিনি বিভিন্ন পত্রিকায় আমাদের মুক্তির দাবিতে কলাম লিখে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ ছাড়া সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মরহুম অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম, সাবেক মন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, বর্তমান বিচারপতি মুবিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, জেলা জজ হারুনুর রশীদ টিপু এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল প্রায়ই কারাগারে আমাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করেছেন।
১/১১ সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা নয়, মূলত আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। কারাগারে বিভিন্ন সংস্থা বারবার ওই সরকারকে সমর্থনের বিনিময়ে আমাদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকি। জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশ থেকে কেউ কোনো কিছুর বিনিময়ে আমাদের সরাতে পারেনি কোনো দিন, ভবিষ্যতেও পারবে না।
২০০৮ সালে জননেত্রী আমাকে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিয়েছিলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করে সিলেট-২ আসনের মানুষের জন্য কাজ করেছি। ২০১৪ সালেও আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ২০১৪ সালে জাপাকে এবং ২০১৮ সালে গণফোরামকে আসনটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩০, সিলেট-২ আসন থেকে জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তাঁর পঞ্চম মন্ত্রিসভায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।
লেখক : প্রতিমন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।