লাশ ফিরে পেতে চায় পরিবার
ইতালি যাওয়া হলো না রেজাউল ও মান্নার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ জুন ২০২৪, ১২:৪৪:১০ অপরাহ্ন

জাউয়াবাজার (ছাতক, সুনামগঞ্জ) থেকে রাজ উদ্দিন : ইতালি যাওয়া হলো না সুনামগঞ্জের দুই যুবকের। লিবিয়া থেকে গন্তব্যে যাওয়ার আগে অসুস্থ হয়ে সাগরেই তাদের সলিল সমাধি ঘটলো। নিহতরা হচ্ছে- ইসলাম ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নের কৈতক দৌলতপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে মো. রেজাউল (২৪) ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের তলের বন গ্রামের আব্দুল ওয়াহাব এর পুত্র সাহিবুর রহমান মান্না (২৩)। পরিবারের লোকজন গত বুধবার মৃতুবাদ জেনেছে।
রেজাউল ইসলামের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রেজাউল ইসলাম এক বছর আগে দুবাই গিয়েছিলেন। এরপর সেখান থেকে মিশর হয়ে লিবিয়া যান। লিবিয়া থেকে গত শুক্রবার ফোন করে পরিবারের সদস্যদের জানান, তিনি গেমে ইতালি চলে যাচ্ছেন। তার আরও দুই ভাই ওমান প্রবাসী। বুধবার সকালে ওমান প্রবাসী বড় ভাই নজরুল ইসলামকে গেমে থাকা অন্যরা ফোনে রেজাউলের মারা যাওয়ার খবরটি জানান।
রেজাউল ইসলামের ফুফুতো ভাই ইমরান আহমদ জানান, রেজাউলের পরিবারের পক্ষ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি ছাতক উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। রেজাউলের বাবা বৃদ্ধ। খবর শুনে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সাহিবুর রহমানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার লিবিয়া থেকে ইতালি যেতে গেমে উঠেন তারা। তাদের সাথে সুনামগঞ্জের আরও লোক ছিলেন। এর আগে দুইজনই দেশে ফোন করে পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন। কিন্তু বুধবার তারা খবর পান তাদের নিয়ে যাওয়া গেমটি ৬ দিনে ইতালি গেলেও পথে সাহিবুর রহমান ও রেজাউল ইসলাম অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। সাহিবুর রহমানের বড় ভাই শাহিবুল ইসলাম জানান, কিভাবে তারা মারা গেছে সেটা জানানো হয়নি। শুধু বলা হয়েছে, তার ভাই আর নেই। তারা দরিদ্র মানুষ। অনেক কষ্ট করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উজ্জ্বল আহমদ নামের এক দালালের মাধ্যমে দশমাস আগে তাকে লিবিয়া পাঠাই। এ জন্য তারা দালালকে সাড়ে ৯ লাখ টাকা দিয়েছেন। মৃত্যু খবর শুনে দুই পরিবারে মাতম শুরু হয়েছে। তাদের লাশ দেশে ফিরে আনতে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।