চিকিৎসাসেবা যাতে বাণিজ্যিক পর্যায়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ৪:৪২:৫৫ অপরাহ্ন

কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেট-এর মতবিনিময় সভা
—-রাশেদা কে চৌধুরী
ডাক ডেস্ক: সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নাজিরের গাঁও এলাকায় কিডনি হাসপাতাল সিলেট-এর নির্মিতব্য ভবনে আগামী বছরের শুরুতেই চিকিৎসা সেবা প্রদান সম্ভব হবে বলে কর্তৃপক্ষ আশা করছেন। গতকাল শনিবার নির্মিতব্য ক্যাম্পাসে অয়োজিত মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানা যায়। কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল সিলেট-এর উদ্যোগে ‘অসহায় মানুষের উন্নত সেবা প্রদান এবং সেবাদানকারি সেবকের করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আমাদের চিকিৎসাসেবা যাতে বাণিজ্যিক পর্যায়ে না যায়; সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে মানুষের সেবা করা মানে ¯্রষ্টার শ্রেষ্ঠ জীবের সেবা করা। বিশেষ করে কিডনী ফাউন্ডশন হাসপাতাল যারা তৈরি করেছেন, তারা এটা মানুষের সেবার জন্যেই তৈরি করেছেন। আমরা মানুষের সেবা করবো, কিডনী ফাউন্ডশন হাসপাতাল থেকে একজন কৃষকও যেন চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। মতবিনিময় সভায় সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ফাউন্ডেশনের জেনারেল সেক্রেটারি কর্ণেল মোহাম্মদ আব্দুস সালাম (অব.)। রাশেদা কে. চৌধুরী রোগীদের সাথে ভালো আচরণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, রোগীদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে। লক্ষ্য করবেন তাদের সাথে একটু সুন্দরভাবে কথা বললেই দেখা যাবে রোগী অনেকটা সুস্থ হয়ে যায়। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের ডাইরেক্টর ডা: কাজি মুশফিক আহমদ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডা. নাজমুস সাকিব, কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সদস্য ডা: মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী বাহার, সদস্য ডা: নাজরা চৌধুরী, ফাউন্ডেশনের ইউকে চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বাসন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার জাফর সাদেক। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর ফরিদা নাসরীন, নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, ডা. আরিফ রেজা, ডা. শিমু, ফাইন্যান্স এন্ড এডিশনাল ডাইরেক্টর মায়াজ রেজা চৌধুরী, এডমিন হেড মুহিবুর রহমান রাসেল, এসিসট্যান্ট এডমিন অফিসার সুমন বিন বাছিত, একাউন্ট ম্যানেজার আতিকুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য, বর্তমানে নগরীর শাহজালাল উপশহরে ২৬ বেডের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল পরিচালিত হচ্ছে। নাজিরের গাঁওয়ে নতুন ভবনে হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় দেড়শ বেডে রোগীকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। ১৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের ৮তলা পর্যন্ত নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।