যুবদল কর্মী বিলালের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ সন্দেহভাজন ৬ জন আটক
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ৫:১০:১৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর শাহপরাণ এলাকায় যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সীর লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আশ্বাস দিলে প্রায় ২০ মিনিট পর সড়ক ছেড়ে দেন অবরোধকারীরা।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মী খুন হয়েছেন।
নিহত বিলাল আহমদ নগরীর ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিম বহর আবাসিক এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। বিলায় পেশায় একজন রংমিস্ত্রি। ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত তিনি। বিলাল আহমদের স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে দুই স্কুলছাত্রের ঝগড়া আর তর্কাতর্কির জেরে শাহপরান এলাকায় যুবদল-ছাত্রদলের নেতৃত্বে স্থানীয় মানুষের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি হয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষে মনোমালিন্য ও উত্তেজনা চলছিল। এরই জেরে সোমবার রাতে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ সময় যুবদল-ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিলাল হোসেনকে উপুর্যুপরি কুপিয়ে আহত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বিলালকে উদ্ধার করে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকজন। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিলালের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। পরে বেলা সোয়া দুইটার দিকে বিলালের লাশ শাহপরাণ মাজার গেট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। তখনই লাশ নিয়ে একদল মানুষ সিলেট-তামাবিল আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধরা খুনিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিলাল হত্যার ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। তবে, সন্দেহভাজন হিসেবে ছয়জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।