সিলেটে চুরি, ডাকাতি ছিনতাই বেড়েছে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ৫:৪৭:০০ অপরাহ্ন
ডা. এস এম আসাদুজ্জামান জুয়েল : সিলেট শহরে ইদানীং চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই বেড়ে চলেছে। এতে জনমনে উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। তারা পুলিশীটহল বৃদ্ধি সহ প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠনের তাগিদ দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্টের পর আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অনেকটা অবনতি হয়। এই সময় থেকে অপরাধী চক্র ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠে। বেড়ে চলে অপরাধ কর্মকান্ড। এ পর্যন্ত বেশ কিছু ঘটনা নগরবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। এদের দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবী ভুক্তভোগীদের।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মাহমুদা নামে একজন রিসিপশনিস্ট পাঁয়ে হেটে কীনব্রীজ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। ব্রীজের উত্তরপাশ থেকে দক্ষিণ দিকে যাবার সময় দু’জন যুবক তার পথ রোধ করে গলার স্বর্ণের চেইনটি ছিঁড়ে নিয়ে যায়। একইদিন কিছু সময়ের ব্যবধানে অন্য আরেকজনের স্মার্ট ফোন ছিনতাই হয়।
ভুক্তভোগী মাহমুদা শহরের কাজলশাহ এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করেন। এছাড়াও গত ২ দিন আগে রানী রায় নামের একজন নারীর কানের দুলও একই কায়দায় কীনব্রীজ এলাকা থেকে খোয়া যায়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, কীনব্রীজের উত্তর পার্শ্বের গেইট সংলগ্ন এলাকায় যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে অপেক্ষমান শতাধিক মোটরসাইকেল দ্বারা গেইটের পূর্ব-পশ্চিম প্রান্ত জটলা করে রাখায় পথচারী ও যাত্রীদেরকে সরুপথ দিয়ে ব্রীজের ওপর দিয়ে পাড়ি দিতে হয়। আর এই সুযোগে ছিনতাইকারীরা ব্রীজের উভয়পাশে ও মাঝখানে স্বল্প আলোর সুযোগ নিয়ে জিনিসপত্র, মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে কীনব্রীজের উভয় প্রান্ত থেকে যাত্রীবহনকারী অবৈধ স্ট্যান্ড সরাতে এবং পুলিশ টহল বাড়ানোসহ ব্রীজের ওপর সড়কবাতির সংখ্যাবৃদ্ধি ও উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
এদিকে, কাজলশাহ এলাকায় গতকাল শুক্রবার মোটরসাইকেল আরোহী দু’জন ছিনতাইকারীর হাতে সর্বস্ব খুইয়েছেন আমিন উদ্দিন নামে এক পথচারী।
এছাড়া, ওসমানী মেডিকেলের পুরাতন মেডিকেল কোয়ার্টারের ১০ নম্বর ভবনের একটি বাসায় চলতি মাসের ৭ তারিখ এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ডাকাতরা বাসার নীচতলার জানালা ভেঙে ঘরে ঢুকে নগদ টাকা, স্বর্ণলংকারসহ প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরের রাতে কোয়ার্টারের চিকিৎসকরা সতর্ক হলে ওই রাতে ১ চোরকে হাতে-নাতে ধরে পুলিশে দেন।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকে পুলিশ বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ায় এবং তাদের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত চক্র তাদের অপকর্ম নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্চে। তাই নগরবাসীর নিরাপত্তা ও জানমাল রক্ষার জন্য প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রয়োজনে টাস্কফোর্স গঠন করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। একই সাথে দাবি জানানো হয়েছে জোড়ালো টহলের।