মতবিনিময় সভায় সিলেটের সুধীজন
সিলেট মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয় নিয়ে অপশক্তির ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ৮:৪৪:৫৭ অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (এসএমইউ) নিয়ে ফ্যাসিস্ট অপশক্তির ষড়যন্ত্র কঠোরভাবে মোকাবেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সিলেটের সুধীজনেরা। তারা সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা: মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর ‘দুর্নীতি-অনিয়মের’ কারণে প্রতিষ্ঠানটি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। প্রতিষ্ঠানটিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বর্তমান প্রশাসনের যে কোন উদ্যোগের সাথে সিলেটবাসী পাশে থাকবে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিট মিলনায়তনে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রেক্ষাপট ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় সুধীজনেরা এসব মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা আরো বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের অগ্রযাত্রায় কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে রুখে দেয়া হবে। যেসব দৃর্বৃৃত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহাট্টাস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে ভাঙচুর করেছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বক্তারা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার শাহ আলম।
কোষাধ্যক্ষ যা বলেন :
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত তিনজন উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হলেও গত কয়েক বছরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাইল পাটওয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কাজ করতে না পেরে ওসমানী মেডিকেল কলেজের একটি কক্ষে অফিস করছেন।
কোষাধ্যক্ষ জানান, প্রথম উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহম্মেদ চৌধুরী সিন্ডিকেটের অনুমোদন ছাড়াই চারবার অবৈধভাবে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যেখানে ১১২টি পদ অনুমোদন করেছে, সেখানে প্রায় ২৪০ জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫৮ জনের নিয়োগে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির যৌথ তদন্তে দেখা গেছে, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ এর ১২(১০) ধারা অনুযায়ী, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগ পাওয়া ২৪০ জনের অধিক কর্মচারীর চাকরি বাতিল এবং তাদের বেতন-ভাতা ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে স্থগিত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনে নামেন ওই নিয়োগপ্রাপ্তরা।
২০২২ সাল থেকেই তারা বিভিন্নভাবে আন্দোলন শুরু করেন এবং ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। এ সময় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর, তালা ভেঙে কক্ষের আলমিরা ও ফাইল কেবিনেট থেকে জরুরি কাগজপত্র (নথি), ব্যাংকের চেক বহি ও গুরুত্বপূর্ণ নথি লুট করার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরবর্তীতে প্রশাসনিক কার্যক্রম চালানো সম্ভব না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থানান্তর করে ওসমানী মেডিকেল কলেজে চালানো হচ্ছে।
ভিসি যা বলেন :
মতবিনিময় সভায় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটওয়ারী বলেন, প্রতিষ্ঠার ৮ বছর হতে চললেও বিশ^বিদ্যালয়ের কোনো অগ্রগতি নেই। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়। সাবেক ভিসি মোর্শেদ আহমদ চৌধুরীর সময়ে গণহারে নিয়োগ বাণিজ্যের ফলে বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রগতি হয়নি। তিনি বলেন, সাবেক উপাচার্য মোর্শেদ চৌধুরীর সময় অনিয়ম ও অনৈতিক উপায়ে গণহারে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেখানে নিয়োগে সিন্ডিকেটের পূর্বানুমোদন ছিলো না। বিশ^বিদ্যালয়ের কোনো সংবিধিও ছিলো না। ফলে পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দেয়। মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশে পূর্ববর্তী উপাচার্যের সময় থেকেই বেতন ভাতা বন্ধ রয়েছে। এখানে বিধির বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই আমি বেতনভাতা চালু করতে পারবো না। উপাচার্য বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে বিশ^বিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সংবিধি চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে, সেটা পাশ হলে সিন্ডিকেটে অনুরোধ করবো, পূর্বে যারা অস্থায়ীভাবে কর্মরত ছিলেন, তাদের বয়সের বিষয়টি শিথিল করার, সিন্ডিকেট অনুমতি দিলে সকলে আবেদন করতে পারবে। তখন যারা যোগ্য, চাকরির ধারাবাহিকতা আছে, তাদের বিষয়টি বোর্ড বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, আমি যোগদান করে ইনভেনটরি করেছি। অনেক নথিপত্র গায়েব করে দেয়া হয়েছে, আপনারা জানেন, কারা এই লুটপাট, হামলা ও ভাঙচুর করেছে, ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় তাদের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য সিলেটবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনারা জানেন, কারা এসব করছে, এরা ৫ আগস্টের পূর্বে ফ্যাসিবাদের সমর্থক ছিল, অনৈতিক উপায়ে চাকরি নিয়েছে, এখন আবার বৈষম্য বিরোধী সেজে আন্দোলন করছে। এরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে এখন আর কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটওয়ারী আরও বলেন, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের কাজ শুধু আন্ডার গ্র্যাজুয়েটের পরীক্ষা নেয়া নয়, এটি একটি বিশেষায়িত বিশ^বিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের পরিধি বিশাল। বিশ^মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ফ্যাকাল্টি ডেভেলপ করার বিকল্প নেই। আপনারা সহযোগিতা করলে আমি রিসার্চ বেইজড একটি বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তুলবো। ফ্যাকাল্টি ডেভেলপ করবো। স্বপ্নের এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সিলেটবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল পাটওয়ারী বলেন, তিনি (ভিসি) ও রেজিস্ট্রার ছাড়া বর্তমানে বিশ^বিদ্যালয়ের স্থায়ী কোন জনবল নেই। বর্তমান দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে স্টাফ নিয়ে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি বলেন, মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় স্থাপনের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় ৮০ একর জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে। তাকে মঙ্গলবার প্রকল্পের পিডি নিয়োগ করা হয়েছে। এ বিশ^বিদ্যালয়ের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী, ১২০০ বেডের হাসপাতাল হবে। এতে দেশের বাইরের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীলতা কমবে এবং স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
সুধীজনেরা যা বলেন :
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস উন নূর বলেন, সমকাল নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক জালালাবাদ।
সিলেট জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে সিন্ডিকেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় জটিলতা সিন্ডিকেটে আলোচনা করে দ্রুত নিরসন করা হোক। যারা ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি সবধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, ১১তম সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত বহাল আছে কী না, আমি জানতে চাই। যদি সেটা বহাল থাকে, তাহলে যে ৫০জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে, তাদের নিয়োগ দেবেন কী না। আর নিয়োগ বাতিল হলে কোনো সমস্যা তৈরি হবে কী না। এগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচাতে যেকোনো অপচেষ্টা রুখে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেন, জনবলই এ বিশ^বিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় সংকট। এখানে নিয়োগে অনেক অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে, নতুন করে যাতে আর কোনো অনিয়ম দুর্নীতি না হয়। তিনি বলেন, ২০২২ সালে পূর্বে নিয়োগকৃতদের অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্বের উপাচার্যের সময় থেকে তাদের বেতনভাতা বন্ধ করা হয়েছে। তাই তাদেরকে নিয়োগ দিলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে। তবে যাদের চাকরির ধারাবাহিকতা আছে, তাদের বিষয়টি মানবিক। তিনি বলেন, আগে যারা জয়বাংলা স্লোগান দিত, এখন তারাই আবার বৈষম্য বিরোধী। এদের বিরুদ্ধে মামলা করা হোক। ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া না হলে বিশ^বিদ্যালয় মুখ থুবড়ে পড়বে।
সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য হয়েছে, এটা সবাই অবগত। অনেক নিরীহ মানুষ ঘরবাড়ি বিক্রি করে এখানে চাকরি নিয়েছে, আপনারা জানেন, আমাদের দেশে কর্মসংস্থান কম, তাই অনেকে টাকা পয়সা দিয়ে চাকরি নেয়। যারা নিয়োগ পায় তারা নিরীহ, তাই যাতে কোনো নিরীহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, আমরা ভিসিকে অনুরোধ করবো, সেটা বিবেচনায় রাখতে। তবে যারা ভাংচুরের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ডা. ওয়েছ আহমদ চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির, জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা: আবেদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহানা ফেরদৌস চৌধুরী, পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: শাহাব উদ্দিন, নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: এ এফ এম নাজমুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সজিব খান, সিলেটের সহকারী পুলিশ সুপার সম্রাট তালুকদার, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান তালুকদার, ডা: হোসেন আহমদ, এনসিপি’র ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো প্রধান কবির আহমদ প্রমুখ। এছাড়া মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
সভায় সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, প্রতিষ্ঠানটি বাঁচাতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা প্রস্তুত। ফ্যাসিস্ট অপশক্তির যে কোন অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, সংকটের কারণে প্রতিষ্ঠানটি স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছে না। অতীতের নিয়োগপ্রাপ্তদের ২০২২ সালে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় বর্তমান প্রেক্ষিতে জনবল নিয়োগ করতে হবে। তিনি অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ নীতিমালা ও বিধিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন। সিলেট মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কারণে অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজগুলোও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।