লামাতাজপুর-সুরিকোনা-গালিমপুর সড়ক পাকা না হওয়ায়, ওসমানীনগরের ৯ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে

মো. কয়েছ মিয়া, ওসমানীনগর (সিলেট) থেকে : ওসমানীনগরের লামাতাজপুর-গলাচিপা-সুরিকোনা-মাধবপুর সড়কের ৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় ৯টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকার স্কুল কলেজ মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, নারী-শিশু, রোগী, ব্যবসায়ীসহ গ্রামবাসী বর্ষায় মাটির রাস্তায় কাঁদা ঠেলে যাতায়াত করছেন। সম্পূর্ণ রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও কোন সুফল দেখা যাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসী।

জানা গেছে, প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের লামাতাজপুর-গলাচিপা-সুরিকোনা-মাধবপুর সড়কটি পাকা করণের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বর্ষায় কাঁদা ও গ্রীষ্মে ধুলার মধ্যে দিয়ে চলাচল করছেন।

গতকাল রোববার বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লামাতাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ওসমানীনগর উপজেলার লামাতাজপুর, সৈয়দপুর, ইসলামপুর, দক্ষিণ কালনীরচর, সুরিকোনা, টুকরাগাঁও, নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, পশ্চিম মাধবপুর গ্রামের কয়েকশ’ লোকজন ও স্থানীয় স্কুল এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সোনাহর আলী ছনর, সমাজসেবক সৈয়দ হুমায়েল আহমদ, আফছর আহমদ, সৈয়দ হেলাল আহমদ, সৈয়দ লিফসন, সৈয়দ রাজু আহমদ সুজিম, সৈয়দ হেলাল আহমদ, শিক্ষক জুনেদ আহমদ, সৈয়দ রাজু আহমদ। মানববন্ধনে নবীগঞ্জ উপজেলার দিঘলবাক ইউনিয়নের সদস্য মো. আকুল মিয়া বলেন, গালিমপুর, মাধবপুর ও পশ্চিম মাধবপুরকে কুশিয়ারা নদী নবীগঞ্জ থেকে পৃথক করেছে। ওসমানীনগরের এ সড়কটি দিয়ে আমরা যাতায়াত করি। এ সড়কটি পাকা করে দিলে আমাদের এলাকা উপকৃত হবে।

বিএনপি নেতা হাফেজ শাহ ফুজায়েল আহমদ বলেন, লামা তাজপুর- সুরিকোনা-গালিমপুর সড়কটি সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সৈয়দপুর থেকে লামাতাজপুর হয়ে নবীগঞ্জের গালিমপুর এবং জগন্নাথপুরের আটঘর হয়ে সুনামগঞ্জ রানীগঞ্জ আউশকান্দি সড়কে মিলিত হয়েছে। মাঝে মধ্যে শেরপুর ব্রিজ অকেজো হলে সিলেট থেকে লোকজন ফেঞ্চুগঞ্জ হয়ে ঢাকা যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়কটি পাকাকরণ হলে মহাসড়কের সাথে বিকল্প আরেকটি লিংক রোড হবে এবং সাদীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ও নবীগঞ্জের মাধবপুর, গালিমপুর, জগন্নাথপুরের আটঘরের লোকজনসহ স্কুল কলেজ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা চলাচল করতে পারবে।

এ ব্যাপারে ওসমানীনগর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ রাস্তা গুরুত্বপূর্ণ আমরাও চাই রাস্তাটি পাকাকরণের। কিন্তু বরাদ্দ না থাকায় করতে পারছি না। তবে গুরুত্ব বিবেচনায় এই রাস্তাটি আমাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, এ সড়কটি পাকাকরণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে উপজেলা প্রকৌশলীকে বলবো।