ষাটের দশকের কবি নূর-ই-সাত্তার আর নেই, জগন্নাথপুরে জানাজা আজ
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৫:১৮:৫৫ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : ষাটের দশকের শক্তিমান কবি নূর-ই-সাত্তার আর নেই। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুরের নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি স্ত্রী, একমাত্র কন্যা, আত্মীয় স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বাদ জোহর কুবাজপুর মাদ্রাসা মাঠে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাঁকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জানা গেছে, কবি নূর-ই-সাত্তার দীর্ঘদিন ধরে নানান রোগে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়িতেই শয্যাশায়ী ছিলেন। ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে দেখতে যেতেন। কবির জন্ম ১৯৪০ সালের ৮ জানুয়ারি। গ্রামের দক্ষিণপাড়া মক্তবে তার পড়ালেখার হাতেখড়ি। গ্রামে পড়ালেখা শেষ করে তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঘা মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনার মাঝেই কবিতা লেখা শুরু করেন। আরবী, ফারসী, উর্দু ও বাংলা সাহিত্যে অভিযাত্রা শুরু হয় তাঁর। কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের আজীবন সম্পাদক মুহম্মদ নুরুল হকের স্নেহভাজন নূর-ই-সাত্তার আল-ইসলাহেও লিখেছেন। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় কিরন পত্রিকায়। স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদপত্রে তার কবিতা প্রকাশিত হতো নিয়মিত। তার লেখা একাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এলাকার উন্নয়নেও তিনি ভূমিকা রেখে গেছেন।
তিনি ছিলেন কুবাজপুর অরুণোদয় যুব সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭৭ ও ১৯৯৭ সালে এই জনপ্রিয় কবি দু’বার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। দু’বারই তিনি রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
কবি নূর-ই-সাত্তারের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর শোক : এদিকে, ষাটের দশকের শক্তিমান কবি নূর-ই-সাত্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, কবি নূর-ই-সাত্তার ছিলেন একজন বিশ্বাসী কবি। তার লেখনিতে সমাজের বিভিন্ন অসংগতি তুলে ধরেছেন। লিখেছেন মানুষের জন্য, মানবতার জন্য। তাঁর মৃত্যু অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।




