এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফল : দিরাইয়ে কলেজকে পেছনে ফেলে মাদ্রাসা শীর্ষে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৯:০১:৩২ অপরাহ্ন
দিরাই সুনামগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে প্রকাশিত এইচএসসি ও আলিম পরীক্ষার ফলাফলে উপজেলায় কলেজ শিক্ষার্থীদের পেছনে ফেলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা পাশের দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছেন। উপজেলার ৯ টি কলেজ ও একটি মাদ্রাসা থেকে মোট ১৮০৮ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৮২৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, হাজী মাহমদ মিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় সার্বিক পাশের হার ৮৯.৩৬ শতাংশ, যা কলেজগুলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। হাজী মাহমদ মিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪২ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
অন্যদিকে, কলেজ পর্যায়ে সামগ্রিক ফলাফল তুলনামূলকভাবে দুর্বল। ৯টি কলেজ থেকে মোট ১৭৬১জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭৮৭ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, পাশের হার ৪৪ দশমিক ৬৯ ভাগ। পাশাপাশি ১১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ অর্জন করেছে।
দিরাই সরকারি কলেজে থেকে ৮৬৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৮৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ৫৫ দশমিক ৭৬ ভাগ পাশাপাশি ৩ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বিবিয়ানা মডেল কলেজ থেকে ৩৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৮১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।পাশের হার ৪৯ দশমিক ৮৬ ভাগ। পাশাপাশি ৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ – ৫ পেয়েছে।
জগদল কলেজ থেকে ৮৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছে,পাশের হার ১৬দশমিক ০৯ ভাগ। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মহিলা কলেজ থেকে ১৮০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৯ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ১০দশমিক ৫৫ ভাগ।
ডাঃ সৈয়দ মনোয়ার আলী আটগ্রাম কলেজ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, পাশের হার ২৬ দশমিক ৬৬ ভাগ। রজনীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ৪৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে, পাশের হার ৬ দশমিক ৩৮ ভাগ।
বাংলাদেশ ফিমেই একাডেমী থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২০ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে,পাশের হার ৪৪ দশমিক ৪৪ ভাগ।
হাতিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১২২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে পাশের হার ৩৫ দশমিক ২৪ ভাগ।
চরনারচর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে,পাশের হার ১৫ দশমিক ৭৮ ভাগ।
এ ফলাফলের সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সর্বস্তরের অভিভাবক ও সচেতন লোকজনের মাঝে কলেজের পড়ালেখার মান নিয়ে বিরূপ প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। অনেকে এর জন্য বিগত কলেজ পরিচালনা কমিটির অব্যবস্থাপনা ও অপছাত্র রাজনীতির দিকে কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জড়ানোকে দায়ী করছে। এছাড়াও অবিভাবকের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজীব সরকার বলেন, প্রত্যাশার চেয়ে রেজাল্ট খারাপ হয়েছে। আশাকরি আগামীতে পাশের হার বাড়াতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকগণ ভালো ভূমিকা রাখবেন।




