সিলেটে অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ ৯ টি মামলার অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৪:৪৯:১৩ অপরাহ্ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ ৯ টি মামলায় অভিযুক্ত রেজুয়ানকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব-৯। শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ। তার বিরুদ্ধে এসএমপির কোতয়ালী ও দক্ষিণ সুরমা থানায় আরও ৮টি মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মো. রেজুয়ান হোসেন রিমু (২৮) দক্ষিণ সুরমার গাংগু গ্রামের মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে।
র্যাব জানায়, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাতে ৭/৮টি মোটরসাইকেলে ১১/১৩ জন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সিলাম এলাকার এগ্রো ফার্ম ব্যবসায়ী আতিকুর রহমানের রাস্তা আটকিয়ে তার মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা ম্যানেজারকে নামিয়ে ১ জন বিবাদী উঠে যায়। পরবর্তীতে মোটরসাইকেলের পিছনে বসা বিবাদী ভিকটিমের পেটের বাম পাশে অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে বিবাদীর কথামত সোজা চলতে বলে। পরে তাকে তারা দক্ষিণ সুরমা থানাধীন সবুজ কুঁড়ি কেজি স্কুলের ভিতরে নিয়ে আটকিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে ভিকটিম চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বিবাদীরা তাকে মাটিতে ফেলে চড়-থাপ্পর, কিল-ঘুষি, লাথি মেরে হত্যার হুমকি দেয়। অতঃপর বিবাদীরা ভিকটিমকে প্রাইভেটকারে তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম প্রাণের ভয়ে টাকা দিতে রাজি হলে ভিকটিমের সাথে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে হুমকি দিয়ে মুক্তিপণের টাকা দাবি করে এবং এ বিষয়ে পুলিশ বা অন্য কাউকে না জানাতে বলে। পরবর্তীতে ভিকটিমের ঘরে ২ লাখ টাকার বেশি নাই বলে জানালে বিবাদীরা দুই লক্ষ টাকা, স্ত্রীর স্বর্ণ এবং ভিকটিমের স্ত্রীর ব্যাংকের চেকে ৫ লাখ টাকা লিখে চন্ডিপুল আসতে বলে। অতঃপর ভিকটিমের ছেলে উল্লেখিত জিনিস নিয়ে আসলে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়িয়ে গরম দেওয়ানের মাজার এলাকায় ভিকটিমের ছেলের কাছ থেকে জিনিসপত্র বুঝে নিয়ে ২ জন বিবাদী দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেলযোগে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পকেটে থাকা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র নিয়ে বাইকের চাবি দিয়ে ভিকটিমকে দ্রুত চলে যেতে বলে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীকে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন চৌকিদেখি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব এই অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার এজাহারনামীয় ৩নং আসামিকে গ্রেফতার করে।
কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ জানান, তার বিরুদ্ধে এসএমপির কোতয়ালী ও দক্ষিণ সুরমা থানায় আরও ৮টি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত আসামীকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।




