কুলাউড়ায় দাবি আদায়ে স্টেশনজুড়ে জনতার ঢল
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ৯:১৬:১১ অপরাহ্ন
কুলাউড়া অফিস : কুলাউড়ায় সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুটি নতুন ট্রেন চালুসহ আট দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস পাওয়ার পর দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। কর্তৃপক্ষের পক্ষে রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মহব্বত জান চৌধুরী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আহসান হাবিব, সাবেক এমপি নবাব আলী আব্বাস খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন, কুলাউড়া থানার ওসি মো. ওমর ফারুক, স্টেশনমাস্টার রোমান আহমেদ, রেলওয়ের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহাজান পাটোয়ারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো: ফজলুল হক খান সাহেদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজল, উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মো. জাকির হোসেন, আন্দোলনের সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক আতিকুর রহমান আখই, অন্যতম সমন্বয়ক মো. খালেদ পারভেজ বখশ প্রমুখ।
অবরোধের কারণে কুলাউড়া, শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলসহ বিভিন্ন স্টেশনে অন্তত কয়েকটি আন্তনগর ট্রেন আটকা পড়ে। এ বিষয়ে ‘আট দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলন’ সংগঠনের সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম ও মুখ্য সমন্বয়ক এম আতিকুর রহমান আখই জানান, রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব আন্তনগর ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন; উন্নতমানের ইঞ্জিন সংযোজন; ডিসেম্বরের মধ্যে বন্ধ স্টেশন চালু; সিলেট-আখাউড়া রুটে দুটি লোকাল ট্রেন চালু; ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কুলাউড়া-সিলেট অংশে প্রতিটি আন্তনগরে ৪০ আসনবিশিষ্ট বগি যুক্ত; সিলেট-আখাউড়া রেলপথ সংস্কারের জন্য ১,৭৩৯ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রুটে দুটি নতুন ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
কর্মসূচিতে সকাল থেকেই লাল পতাকা হাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা কুলাউড়া রেলস্টেশনে জড়ো হন। আন্দোলন স্থলে বক্তব্যও রাখেন তারা। এ ছাড়া জেলার কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল, শমশেরনগর ও ভানুগাছ স্টেশনে সাধারণ মানুষও একাত্মতা প্রকাশ করে লাল পতাকাসহ অবস্থান নেন।
বক্তারা জানান, দ্রুতগামী ট্রেনের অভাব, শিডিউল বিপর্যয় ও নড়বড়ে রেললাইন যাত্রীদের ভোগান্তির কারণ। তারা সতর্ক করেন, রেলপথ সংস্কার না হলে সিলেট অঞ্চল একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে।
আন্দোলনকারীদের আট দফা দাবি হলো- ঢাকা-সিলেট রুটে অনুমোদিত টাঙ্গুয়ার এক্সপ্রেস দ্রুত চালু; সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজারে দুটি স্পেশাল ট্রেন; আখাউড়া-সিলেট রুট ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন; আখাউড়া-সিলেট সেকশনে একটি লোকাল ট্রেন চালু; বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালু; কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল স্টেশনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি; কালনী ও পারাবত ট্রেনের অপ্রয়োজনীয় স্টপেজ বাতিল ও ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ও অতিরিক্ত বগি সংযোজন।
কুলাউড়া স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মো. রোমান আহমদ জানান, অবরোধের কারণে ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস শায়েস্তাগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গলে কিছু সময় আটকা পড়ে।



