আমরা চাই না আমেরিকা-রাশিয়া অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ৭:২৯:৩৪ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ১৯৭১ সালে গণতন্ত্র যখন ভূলুণ্ঠিত হলো তখন আমরা যুদ্ধে যাই, দেশ স্বাধীন করি। আমাদের মানবাধিকার নিয়ে কারও মাতব্বরি করার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ সরকারের রক্তে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার। আর তাই আমেরিকা-রাশিয়া বা বিশ্বের কোনো লোক আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে নাক গলাক, তা চাই না। তবে বন্ধু রাষ্ট্রগুলো কোনো প্রস্তাব দিলে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশেরই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। কোনো বিষয়ে বক্তব্য থাকলে তারা অবশ্যই আমাদের জানাবেন। বন্ধুরাষ্ট্র কোনো প্রস্তাব দিলে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে দেখব।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে মতামত ছিলো আমরা সেটা শুনে যাচাই-বাছাই করেছি। জাতিসংঘ যখন ৭৬টি গুমের অভিযোগ করলো, তখন আমরা সিরিয়াসভাবে নিয়েছি। তখন খতিয়ে দেখলাম এর মধ্যে ১০ জন লোক দিব্যি বাড়িতে বসে আছে। ভারতীয় পত্রিকা রিপোর্ট করলো এর মধ্যে দুইজন ভারতীয় নাগরিক। আর এর মধ্যে ২৮ জন সাজাপ্রাপ্ত দাগি আসামি। তারা যদি গঠনমূলক ভালো কোনো প্রস্তাব নিয়ে আসেন, তাহলে আমরা অবশ্যই গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা বলতে চাই, আমাদের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো পরামর্শ বা মাতব্বরি করার সুযোগ নাই। কেননা এসব বিষয়ে আমরা সিরিয়াস। কারণ ১৯৭১ সালে এসবের জন্য ৩০ লাখ লোক রক্ত দিয়েছেন।
রাশিয়া বাংলাদেশের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি তাদের জিজ্ঞাসা করুন। আমরা চাই যে নিয়ম আছে, জেনেভা কনভেনশন আছে, সে অনুযায়ী প্রত্যেক দেশ কাজ করবে এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে না। আমরা পরিপক্ক, স্বাধীন, সার্বভৌম দেশ এটা সবার মনে রাখা উচিত। আমার এই বক্তব্য রাশিয়া, আমেরিকার সবার জন্য প্রযোজ্য। ওইসব ওদের জিজ্ঞাসা করুন, আমার কাছে এত ঘুর ঘুর করছেন কেন?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনোভাবে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সবসময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদাবোধ সমুন্নত রেখেছে। এসব নিয়ে আমাদের আন্তরিকতার কোনও অভাব নেই।
আমি নিশ্চিত নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক- যোগ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।