রেজিস্ট্রি মাঠে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে গয়েশ্বর রায়
১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১২ জানুয়ারি ২০২৩, ৭:১৮:০৭ অপরাহ্ন
এই সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে ॥ আলাল
ডাক ডেস্ক : অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে মাফ চেয়ে জনতার কাতারে আসার আহবান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, সরকার ফ্যাসিবাদের যত উপকরণ আছে সব জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এ অবস্থায় ১০ দফা দাবি আদায় করে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির সিলেট বিভাগীয় গণঅবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন সহ ১০ দফা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে শুরু হওয়া এই গণ অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, শেয়ার মার্কেট, স্বাস্থ্যখাত, বিদ্যুৎখাত দেশের সকল খাতে ব্যাপক হাতে চুরি হয়েছে। পদ্মাসেতু সহ উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। দেশ আজ বির্পস্ত। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চায় না। তারা শুধু ক্ষমতা চায়। বিএনপি জনগণকে নিয়ে মাঠে থাকবে, আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার বক্তব্যে আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখে। ভারতের কাছে আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের আলোকপাত করে তিনি বলেন, একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর পক্ষে এসব কথা মানানসই নয়। কতবড় বেকুব হলে একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ রকম বক্তব্য দেন।’
এ সময় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি প্রস্তাবের প্রতিবাদে ও বিএনপির ১০ দফা দাবি আদায়ে আগামী ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেন তিনি।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অবস্থান কর্মসূচি শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় দলনেতা এডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘ছাগল চুরি, গরু চুরি, কয়লা চুরি, বিদ্যুৎ চুরি, রিজার্ভ চুরি, ব্যাংক চুরি সহ সব চুরির সাথে আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী লীগ এখন সব চোরের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আমরা নিত্যপণ্য, বিদ্যুৎ, তেল গ্যাস কমানোর জন্য বার বার বলছি। সারের দাম কি পরিমাণ বাড়ছে, এখন আবার বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে না সরালে দেশের মানুষ বাঁচতে পারবে না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার সকল অধিকার হারিয়েছে। তাই এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ এখন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না। এর মধ্যেই আবার তারা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে। বিএনপি জনগণের দল, তাই জনগণের ন্যায্য দাবি আদায় করার জন্য রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। অতীতের মত দেশের সাধারণ মানুষ বিএনপির সাথে আছে।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন কালে সিলেট মহানগর বিএনপির আহবায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি আগামী দিনের আন্দোলন সংগ্রামে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জানান।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান, কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গৌছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, সহ ক্ষুদ্রঋণ ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম ও মিজানুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা নাজির হোসেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় সিলেট বিভাগে চার জেলা বিএনপি, সিলেট মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সিলেট মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- নাসিম হোসাইন, বদরুজ্জামান সেলিম, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ, নজিবুর রহমান, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, সালেহ আহমদ খসরু, মাহবুব কাদির শাহী, সৈয়দ তৌফিকুল হাদি, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মুকুল মোর্শেদ, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, আক্তার রশিদ, আফজল হোসেন, সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মাহবুব চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা ইসলাম তরফদার তনু, মিজানুর রহমান, সিলেট জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে- এডভোকেট আব্দুল গফফার, এডভোকেট আশিক উদ্দিন, মামুনুর রশিদ মামুন, এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, সামিয়া বেগম চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম ফারুক, হাজী শাহাব উদ্দিন, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, ইশতিয়াক সিদ্দিকী, শামীম আহমদ, ইকবাল বাহার চৌধুরী, আব্দুল আহাদ খান জামাল, মাহবুবুল হক চৌধুরী, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, ইকবাল আহমদ তাপাদার, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহিন আলম জয়। সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা নাদের আহমদ, আনসার উদ্দিন। যুবদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- আবুল মনসুর শওকত, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম মুমিন, শাহনেওয়াজ বক্ত তারেক, জালাল উদ্দিন, মকসুদ আহমদ, মীর্জা সম্রাট, কৃষকদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- আনিছুল হক, মোনায়েম কবির, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, তাজরুল ইসলাম তাজুল, স্বেচ্ছাসেবকদল নেতৃবৃন্দর মধ্যে- স্বাগত কিশোর দাস, শামসুজ্জামান, শাকিল মোর্শেদ, আফসর খাঁন, মহিলাদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- সালেহা কবির শেপী, ফাহিমা কুমকুম, ফাতেমা জামান রুজি, রেহানা আক্তার হাসনা, এডভোকেট ফাতেমা ইয়াসমিন, জেলা মৎস্যজীবী দল নেতা একেএম তারেক কালাম, জাসাস নেতৃবৃন্দর মধ্যে- নিজাম উদ্দিন তরফদার, তাজ উদ্দিন মাসুম, রাসেল আহমদ, মোনাজ্জির হোসেন সুহেল, শ্রমিকদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে- সুরমান আলী, আব্দুর রহমান, আব্দুল আহাদ, জাহাঙ্গীর আলম জীবন, এসএম লুৎফুর রহমান, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলতাফ হোসেন সুমন, সুদীপ জ্যোতি এ্যাষ, জাহাঙ্গীর আলম, রুবেল আহমদ, দেলোয়ার হোসেন দিনার, ফজলে আহসান রাব্বী।