ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার প্রত্যাহার
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বললেন,‘আমার নিরাপত্তাজনিত সংকট দেখা দিলে সরকার দায়ী’
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৩, ৪:৫১:৫৮ অপরাহ্ন
![<span style='color:#000;font-size:18px;'>ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার প্রত্যাহার</span><br/> সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বললেন,‘আমার নিরাপত্তাজনিত সংকট দেখা দিলে সরকার দায়ী’ <span style='color:#000;font-size:18px;'>ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার প্রত্যাহার</span><br/> সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বললেন,‘আমার নিরাপত্তাজনিত সংকট দেখা দিলে সরকার দায়ী’](https://sylheterdak.com.bd/wp-content/uploads/2023/05/Untitled-1-copy.jpg)
সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের প্রত্যাহারের পর জরুরী সংবাদ সম্মেলনে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘আনসার সদস্য প্রত্যাহারের ফলে তাঁর নিরাপত্তাজনিত কোন সংকট দেখা দিলে সরকার দায়ী থাকবে।’
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে তাদের প্রত্যাহার করে নেয় জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়। এরপর বুধবার বিকেলে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেয়র আরিফ। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আরিফুল অভিযোগ করেন, তাকে কোনো আগাম নোটিশ না দিয়েই আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রথম মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর তার নিরাপত্তায় ২ জন গানম্যান নিয়োজিত ছিলেন। পরের মেয়াদে পাশ করার পর আর তাকে গানম্যান দেয়া হয়নি। এমনকি নিরাপত্তার প্রদানের কোন সুযোগই রাখা হয়নি। পরবর্তী সিলেট সিটি কর্পোরেশনে স্পর্শকাতর সেকশন পানি শোধানাগার, যান্ত্রিক শাখাসহ মেয়রের অফিস ও তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়। যার জন্য সিটি কর্পোরেশন মাসোহারা প্রদান করে। বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে এই নিয়মেই চলছিলো। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
মেয়র আরিফুল বলেন, ‘এখন আমার যদি নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সংকট তৈরি হয় তাহলে এর জন্য অতিউৎসাহী সরকারি কর্মকর্তা ও সরকারই দায়ী থাকবে।’ তিনি বলেন, কিছু কর্মকর্তা সিলেট এর রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। রাতের আঁধারে মাসোহারায় নিয়োজিত আনসার সদস্যদের প্রত্যাহার এর অন্যতম প্রমান।
সিসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে তাঁকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক বলেন- সম্প্রতি আমি মহানগরের যেখানে যাচ্ছি এবং আমার সঙ্গে ছবি পর্যন্ত তুলছেন, দেখা যাচ্ছে রাতের বেলা তাদের পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। কাউকে রিমান্ডে পর্যন্ত নিচ্ছে। আমি তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। কিন্তু প্রশাসনের অতি উৎসাহী কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা এমন একজন জনপ্রতিনিধিকে কীভাবে মূল্যায়ণ করতে হয়-সেটিও সম্ভবত ভুলে গেছেন।’মেয়র আরিফ প্রশ্ন রেখে বলেন- ‘আমার বাসায় যদি এভাবে নিরাপত্তা দেওয়া আইনসিদ্ধ না হয়, তবে দীর্ঘ ৬ বছর তারা কোথায় ছিলেন? আমি দেখছি- আমার নগরবাসী থেকে আমাকে দূরে রাখার সব ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি নগরবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
সিসিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ বছর আগে জেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয় থেকে ২৪ জন আনসার সদস্যকে নিয়োগ দেয় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৬ জন আনসার সদস্য দিন ও রাতে পালাক্রমে মেয়রের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মেয়রের বাসভবনে নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছিলেন এই আনসার সদস্যরা।
এ বিষয়ে আনসার ও ভিডিপির সিলেট জেলার কমান্ড্যান্ট আলী রেজা রাব্বি জানান, ‘পাঁচ বছর আগে নগর কর্তৃপক্ষ নগর ভবনের নিরাপত্তা দিতে আনসার নিয়েছিল। বাসা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য আনসার নেওয়া যায় না। আমি সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। যোগদানের পর বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি।’ এখন থেকে আনসার সদস্যরা কেবল নগর ভবনে কর্মরত থাকবেন।