একনেকে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১৫ প্রকল্প অনুমোদন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ জুলাই ২০২৩, ৫:১৩:১৯ অপরাহ্ন
ডাক ডেস্ক : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনসহ ১৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১২ হাজার ১৯২ কোটি ৭ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৫ হাজার ২৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ৫৮৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প ছাড়াও একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- বড়পুকুরিয়া, বগুড়া-কালিয়াকৈর ৪০০ কেভি লাইন প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিল্ম সিটি প্রকল্প। ঝিনাই, ঘাঘট, বংশী এবং নাগদা নদীর প্রবাহ পুনরুদ্ধারের জন্য শুষ্ক মৌসুমে নদীর প্রবাহ নিশ্চিতকরণ, নৌ-পথের উন্নয়ন ও বন্যা ব্যবস্থাপনা প্রকল্প। উলিপুর-চিলমারী সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প।
বেসরকারি ভবনগুলোর রেজিলিয়েন্সির জন্য ডিজাইন এবং নির্মাণের গুণগত মান বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প। পার্বত্য চট্টগ্রামে সমন্বিত ও টেকসই পৌর পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প। বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের জন্য রেকর্ড ভবন নির্মাণ প্রকল্প। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা সেচ উন্নয়ন প্রকল্প। ডাবল লিফটিং পদ্ধতিতে পদ্মা নদীর পানি বরেন্দ্র এলাকায় সরবরাহ ও সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্প। টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি কাম হটিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্প।
ভূমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে উড়িরচর-নোয়াখালী ক্রস ড্যাম নির্মাণ প্রকল্প। চট্টগ্রাম জেলাস্থ পোল্ডার নং ৭২ এর ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের স্থায়ী পুনর্বাসন ঢাল সংরক্ষণ প্রকল্প। দেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধা নির্মাণ প্রকল্প। আমার গ্রাম আমার শহর পাইলট গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্পটির মাধ্যমে শহরের মতো গ্রামেও আবাসনের জন্য ফ্ল্যাট সুবিধা, ইউনিয়নের রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পানি ও স্যানিটেশন এবং টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১৫টি ইউনিয়নে পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে তিনটি গ্রামে ৬১৬টি ইউনিট বা ৬৮টি চারতলা আবাসন ভবন নির্মাণ করা হবে।