হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১:৩৭:৫২ অপরাহ্ন
হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে জামায়াত নেতা হত্যা মামলায় ১৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সৈয়দ মো. কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ রায় দেন। উক্ত মামলায় ২ জনকে বেকসুর খালাস এবং মৃত্যুবরণ করায় ৩ জনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রায় প্রকাশের পর বাদিপক্ষ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠলে আদালত প্রাঙ্গণে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। সদর মডেল থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলজার খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। আমরা সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিন বলেন, রায় ঘোষনার পর বাদিপক্ষ উত্তেজিত হয়ে আসামীদের উপর হামলা চালাতে উদ্যত হয়। আমরা তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জামায়াত নেতা মহিবুর রহমান চৌধুরীকে ২০১৩ সালের ১৭ জুন রাতে শহরের পুরানমুন্সেফি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তার বড়ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজিদুর রহমান ১৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। মামলায় ২১ জন সাক্ষীর সক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক উল্লেখিত রায় দেন। রায়ে মামলার প্রধান আসামী শফিকুল আলম চৌধুরীকে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং বাকি ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। তারা হচ্ছেন-শহিদুল আলম চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, শেবুল মিয়া, রুবেল মিয়া, শামিম, আব্দুল মুকিত, আলমগীর, শামছুল হুদা ছরফুল, মকছুদ ওরফে ছাও মিয়া, তারা মিয়া, রতিশ দাশ, ছায়েদ মিয়া ও নাহিদ মিয়া। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বুলবুল মিয়া ও জুয়েল মিয়াকে খালাস প্রদান করা হয়। এছাড়া মৃত্যুবরণ করায় আকবর হোসেন, আব্দুল কাইয়ুম ও শাহজাহানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এদিকে রায় ঘোষণার পর বাদিপক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করে উত্তেজিত হয়ে উঠলে আদালত এলাকায় চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম শাহাবুদ্দিন শাহিনের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।




