সিলেটে আটকে পড়া তিনটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ছেড়ে গেছে, বিপাকে ডমেস্টিক যাত্রীরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৭:৪৪ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার পর সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকাল ৩টার পর ছেড়ে যায়নি বিমানের কোন ফ্লাইট। তবে, বাংলাদেশ বিমানের একটি এবং ইউ-এস বাংলার দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর রাত ৯টা ২২ মিনিটে এ বিমানবন্দর থেকে ফের বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়। রাত প্রায় ২টার দিকে এয়ার এস্ট্রার একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাত ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের অভ্যন্তরীণ রুটের একটি ফ্লাইটের যাত্রীরা বিমানবন্দরে অপেক্ষমান রয়েছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ জানান, রাত ৯.২২ মিনিটে প্রথম নভোএয়ারের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি অবতরণ করা ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ১০.১ মিনিটে ও ১০.১৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় রিয়াদ থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি। এছাড়া, মালদ্বীপ থেকে ইউএস বাংলার অপর ফ্লাইট রাত সাড়ে ১০টা ৪০ মিনিটে ওসমানী বিমানবন্দর ছাড়ে।
একে একে ঢাকার উদ্দেশ্যে উড়াল দেয় অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটগুলো। সিলেট এয়ারলাইন্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ বেলায়েত হোসেন লিমন জানান, রাত ১১টা ১৭ মিনিটে অভ্যন্তরীণ রুটে ইউএস বাংলার সর্বশেষ ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। তিনি জানান, মালদ্বীপ ও সিঙ্গাপুর থেকে আসা ইউএস বাংলার যাত্রীদের তাদের পক্ষ থেকে খাবার পরিবেশন করা হয়।
সূত্র জানায়, বিকেল ৩টা ৩১ মিনিটে রিয়াদ থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিজি-৩৪০ ফ্লাইটটি ৩৯৬ জন যাত্রী নিয়ে সিলেটে অবতরণ করে। এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইট ১৫৩ যাত্রী নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
এদিকে রিয়াদ থেকে আসা ফ্লাইট থেকে ১২ জনের সিলেট ফ্লাইট হওয়ায় তাদেরকে বোর্ডিং পাস দেয়া হয়। আর সিলেট থেকে ৩টি ডমেস্টিক ফ্লাইট দেরি হওয়ায় বিপাকে পড়েন ঢাকাগামী যাত্রীরা। পরে সন্ধ্যায় এই বিমানবন্দরে অবতরণ করে মালদ্বীপ থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলার আরও একটি ফ্লাইট। তবে, রাতে সবগুলোই ফ্লাইটই বিমানবন্দর ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে বিমান সূত্র।
এয়ার এস্ট্রার যাত্রী এনবিআর-এর কর গোয়েন্দা সেলের প্রধান আব্দুর রকিব জানান, শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে তাদেরকে বহনকারী বিমান সিলেট থেকে ঢাকায় ছেড়ে যাবার কথা ছিল। কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার কারণে ঢাকা থেকে এয়ার এস্ট্রার ফ্লাইটটি টেইক অফ করে রাত ১টায়। এরপর রাত পৌনে ২টায় তাদেরকে বিমানে তোলা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে বিমানটি ছাড়বে বলে জানান তিনি। এর আগে তারা দীর্ঘক্ষণ বিমানের জন্য অপেক্ষমান ছিলেন বলে জানান এ কর কর্মকর্তা।
ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে গতরাত ২টায় সিলেট কিডনী ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, তাদেরকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা থেকে সিলেটে ছেড়ে আসার কথা ছিল। কিন্তু, রাত ২টা পর্যন্ত বিমানটি সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি। এ কারণে প্রায় ৬৫ জন যাত্রী বিপাকে পড়েছেন। এ ফ্লাইটটি ফিরতি ফ্লাইট হিসেবে ঢাকায় যাবার কথা ছিল।




