গরমের সাথে তীব্র লোডশেডিং সিলেটবাসী চরম ভোগান্তিতে
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৫:০২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে কিছুতেই রেহাই পাচ্ছেন না সিলেটবাসী। কখনও চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি, কখনও সার্ভার জটিলতা, আবার কখনও ইঞ্জিনে ত্রুটি। এমন নানা অজুহাতে বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। গত ক’দিন ধরে তীব্র গরমের সাথে যোগ হওয়া লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সিলেটবাসী। রাতে কিংবা দিনে প্রচন্ড গরমের মাঝে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় কাটাতে হচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক গ্রাহককে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কম থাকায় উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ হয়েছে ১৬৫ মেগাওয়াট। ঘাটতির পরিমাণ ৬০ ভাগ। তেমনি সিলেট জেলায় ১৬০ মেগাওয়াটের বিপরীতে সরবরাহ ছিল ১শ মেগাওয়াট। যার কারণে দিন-রাতে বিদ্যুৎ যাওয়া-আসার ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড’র সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, সমস্যা নিরসনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নগরী ছাড়া গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন এলাকায় রাত-দিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। ফেঞ্চুগঞ্জে গত শুক্রবার রাতে পল্লী বিদ্যুতের কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকান্ডের কারণে ৫ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়।
পল্লী বিদ্যুৎ ফেঞ্চুগঞ্জ এরিয়া অফিসের এজিএম শামসুল ইসলাম জানান, কন্ট্রোল রুমে অগ্নিকান্ডের কারণে ক্ষতি সারাতে কাজ চলছে। এখন বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুরে অবস্থিত ১১ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় গ্রামেগঞ্জে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গরমের এই সময়ে বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে কেন্দ্রের আইটি শাখার কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এপ্রিলে কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। ভবন ও যন্ত্রপাতিসহ মালামাল বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে।




