শ্রীমঙ্গল শহরে মহাসড়কে গর্ত-কাদা, ভোগান্তিতে পথচারীরা
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৮:৩৪ অপরাহ্ন
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা : শ্রীমঙ্গলের বাসস্ট্যান্ড ও গাংচিল রেস্টুরেন্টের মধ্যবর্তী ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। একটি রোদেলা সকাল। হাজারো পদচারণা, গাড়ি, বাস ও রিকশার সঙ্গে মিলেমিশে প্রতিদিনের ব্যস্ততা। কিন্তু চোখে পড়ছে এক উদ্বেগজনক দৃশ্য। রাস্তার চারদিকে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত, তার ভেতর জমে থাকা নোংরা পানি আর দুর্গন্ধ, যা পথচারীদের চলাচলকে প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।
শ্রীমঙ্গল, যার পরিচয় শুধু চায়ের বাগান ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি সিলেট বিভাগের একটি কসমোপলিটন শহর। এখানে প্রায় ৫০টির মতো চা বাগান রয়েছে, যার কারণে অন্য জেলা শহরের তুলনায় ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বেশি। প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক, আত্মীয় স্বজন ও যাত্রী এই রাস্তা ব্যবহার করে শহরে প্রবেশ ও প্রস্থান করেন।
কিন্তু এই ব্যস্ততম পথটি এখন মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বাস বা ট্রাক চলাকালে গর্তে জমে থাকা পানি ও কাদা ছিটকে পথচারীদের জামা, কাপড় ও শরীর ভিজে যায়। বিশেষ করে ওয়াপদা মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়া মুসল্লিদেরকে প্রতিদিন এই ভোগান্তি ভোগ করছেন।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসলাম উদ্দিন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, শ্রীমঙ্গল বাসস্ট্যান্ড ও গাংচিল রেস্টুরেন্টের মধ্যবর্তী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুপাশে ড্রেন করা হবে যা রোডস এন্ড হাইওয়ে এ নিয়ে কাজ করছে। টেন্ডার না হওয়ার কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তাই, এ অবস্থায় রোডস এন্ড হাইওয়ে গর্তগুলোতে ইট ফেলে সাময়িকভাবে সংস্কার করেছে। এতে যানবাহন চলাচলে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এবং পথচারীরাও অপেক্ষাকৃত নিরাপদে চলাচল করতে পারছেন।
শ্রীমঙ্গল শহরের ব্যস্ততম এই রাস্তাটি শুধু চলাচলের মাধ্যম নয়, এটি শহরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ স্পন্দন। সংস্কার করা না হলে, গর্ত ও কাদা শুধু অসুবিধাই নয়, বরং নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।




