সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
স্ত্রীর উচ্ছৃংলতায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী হয়রানির শিকার
সিলেটের ডাক প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১:১১:০৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার : স্ত্রীর উচ্ছৃংলতায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়েছে। স্ত্রী তাহমিনা বেগম সুমনা গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ উত্তরগাঁও গ্রামের শেখ উদ্দিন কোরেশির পুত্র শাহিদ উদ্দিনের জীবন বিষিয়ে তুলেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন শহিদ উদ্দিন কোরেশীর মামা নগরীর আম্বরখানা এলাকার বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন শাহিন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহীন জানান, তার ভাগ্না শাহিদ উদ্দিন কোরেশির সাথে মৌলভীবাজারের রাজনগর মোকামপাড়ার ফতেহপুর গ্রামের মহরী এম এ জলিল বাবুর মেয়ে তাহমিনা বেগম সুমনার বিয়ে হয় ২০২৪ সালে। গত ৬ আগস্ট শাহিদ উদ্দিন তার স্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর সুমনার আচার আচরণ বদলাতে শুরু করে। সে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে। প্রায়ই সে মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকে। সে পরিবারকে সময় দিতে চায় না। এমনকি সে তার স্বামীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। যা পরিবারের সকলের নিকট সন্দেহের সৃষ্টি করে।
একপর্যায়ে জানা যায়, বিয়ের আগে একটি ছেলের সাথে সুমনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যা গোপন করে তার পরিবার জোরপূর্বক যুক্তরাজ্য প্রবাসী দেখে তার ভাগ্নার সাথে সুমনার বিয়ে দেয়। এমনকি একটা পর্যায়ে সুমনা নিজেই শিকার করে তার প্রেমের কথা। তখন তার ভাগ্নেসহ পরিবারের লোকজন তাকে অনেক বুঝিয়েও ঠিক করতে পারেননি। একপর্যায়ে তার ভাগনা তাকে নিয়ে উমরাহ হজ্ব পালন করলেও সুমনার কোন পরিবর্তন হয়নি। তার ভাগ্না সুমনার পিতা মাতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি তার মোবাইল ব্লক করে দেন। এরইমধ্যে মেয়েটি তার প্রেমিক ও পরিবারের প্ররোচণায় গত ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের পুলিশকে কল করে বাসায় নিয়ে আসে। সে পুলিশকে জানায়, সে এখানে আর থাকতে চায় না। স্বামীর বাসা থেকে সে বের হয়ে যেতে চায়। যে কারণে যুক্তরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী পুলিশ তাকে নিয়ে যায়। ৮ মাসের প্রেগন্যান্ট অবস্থায় সে বাসা থেকে চলে যায়। উল্টো পুলিশের কাছে নানা মিথ্যা অভিযোগ দেয় মেয়েটি। এতে তার ভাগনা আইনি জটিলতায় পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তার ভাগনা আর্থিক ও মানসিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সুমনাকে প্ররোচণা দানকারীদের বিচার দাবি করেন তিনি।




